নিজস্ব প্রতিবেদক

০৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ২১:২৭

প্রার্থীদের সাথে সিলেট চেম্বার প্রশাসনের মতবিনিময়

দি সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র নির্বাচন বোর্ডের উদ্যোগে ২০১৯-২০২১ সাল মেয়াদের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনের প্রার্থীদের সাথে সিলেট চেম্বারের প্রশাসক, নির্বাচন বোর্ড ও আপীল বোর্ডের এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনী তফসিল অনুযায়ী গতকাল শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) প্রার্থীর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।

এ বছর ৪টি সদস্য ক্যাটাগরিতে ৪১ জন প্রার্থী পরিচালক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, যার মধ্যে ২২ জন প্রার্থী পরিচালক হিসেবে নির্বাচিত হবেন এবং তাদের মধ্য থেকে পরবর্তীতে সভাপতি, সিনিয়র সহ সভাপতি ও সহ সভাপতি নির্বাচিত করা হবে। তবে টাউন এসোসিয়েশন ক্যাটাগরিতে অন্য কোন প্রার্থী না থাকায় শমশের জামালকে ঐ ক্যাটাগরি থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত পরিচালক হিসেবে প্রাথমিকভাবে ঘোষণা করা হয়েছে।

সভায় নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান এডভোকেট মোঃ নাসির উদ্দিন খান জানান, আমরা নির্বাচন আয়োজনে সার্বিক সহযোগিতা ও নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য ইতোমধ্যে স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, র‌্যাব, ডিজিএফআই, এনএসআই, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সুশীল সমাজসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে পত্র প্রেরণ করেছি। সভায় সকল প্রার্থীদের নিকট নির্বাচনী আচরণবিধি সরবরাহ করা হয়। নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান আচরণবিধি মেনে চলা ও শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য সকল প্রার্থীদের প্রতি আহবান জানান তিনি।

তিনি বলেন, ভোটারগণকে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের ক্ষেত্রে অবশ্যই অর্ডিনারি শ্রেণীতে ১২টি, এসোসিয়েট শ্রেণীতে ৬টি ও ট্রেড গ্রুপ শ্রেণীতে ৩টি ভোট প্রদান করতে হবে, না হলে বিধি অনুযায়ী ঐ ভোটারের ব্যালট পেপার বাতিল বলে বিবেচিত হবে। এ বিষয়ে তিনি ভোটারদের সচেতন করার জন্য প্রার্থীদের প্রতি আহবান জানান।

সিলেট চেম্বারের প্রশাসক আসাদ উদ্দিন আহমদ বলেন, সিলেট চেম্বার অব কমার্স সিলেটের ব্যবসায়ীদের ঐতিহ্যবাহী সংগঠন। এ সংগঠনের কার্যক্রমের ধারাকে অব্যাহত রাখতে যোগ্য নেতৃত্ব নির্বাচন একান্ত জরুরী। সকল ভোটারদের অংশগ্রহণে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে আমরা সাধ্যমত কাজ করে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, সুষ্ঠু ভোটার তালিকা প্রণয়ন, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই, প্রার্থীর তালিকা প্রণয়নসহ নির্বাচন সংক্রান্ত কাজগুলো বাস্তবায়নে নির্বাচন বোর্ড ও আপীল বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সদস্যগণ অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। তিনি এজন্য দুইটি বোর্ডের চেয়ারম্যানগণ ও সদস্যগণকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।

আপীল বোর্ডের চেয়ারম্যান এডভোকেট একেএম শমিউল আলম বলেন, নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে আপীল বোর্ড সদা সচেষ্ট রয়েছে। প্রাথমিক ভোটার তালিকার বিরুদ্ধে উত্থাপিত আপীল থেকে শুরু করে মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে আপীলসহ সকল আপীলগুলো আমরা সর্বোচ্চ সতর্কতা ও সাবধানতা অবলম্বন করে নিষ্পত্তি করেছি। ভবিষ্যতেও নির্বাচন সংক্রান্ত যেকোনো আপীল যথাযথভাবে নিষ্পত্তি করতে আমরা প্রস্তুত রয়েছি।

সভায় প্রার্থীগণ বর্তমান প্রশাসক মহোদয়ের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন বোর্ড ও আপীল বোর্ডের কাজের প্রতি পূর্ণ আস্থা ও সমর্থন প্রকাশ করে বলেন, বর্তমান নির্বাচন বোর্ডের অধীনে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে আমরা আশাবাদী। এ ব্যাপারে তারা সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন। সভায় সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে প্রার্থীগণের পক্ষ থেকে উত্থাপিত কিছু সহায়ক ও যৌক্তিক প্রস্তাবনা গ্রহণ করা হয়।   

সভায় উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন বোর্ডের সদস্য এডভোকেট সৈয়দ শামীম আহমদ, এডভোকেট মো. জুনেল আহমদ, আপীল বোর্ডের সদস্য এডভোকেট মো. রাজ উদ্দিন ও হারুন আল রশিদ দিপু।

প্রার্থীগণের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এহতেশামুল হক চৌধুরী, মো. সাহিদুর রহমান, ফালাহ উদ্দিন আলী আহমদ, মুশফিক জায়গীরদার, মো. আব্দুর রহমান (জামিল), খন্দকার ইসরার আহমদ রকি, মো. শফিকুল ইসলাম, শান্ত দেব, মো. আব্দুস সামাদ, খলিলুর রহমান চৌধুরী, ফখর উস সালেহীন নাহিয়ান, আলীমুল এহসান চৌধুরী, আবু তাহের মো. শোয়েব, মো. মামুন কিবরিয়া সুমন, এনামুল কুদ্দুছ চৌধুরী, মুকির হোসেন চৌধুরী, হুমায়ুন আহমদ, মো. ফারুক আহমদ, মো. নজরুল ইসলাম, জুবায়ের রকিব চৌধুরী, আক্তার হোসেন খান, আব্দুল হাদী পাবেল, শহিদ আহমদ চৌধুরী, মোহাম্মদ আব্দুস সালাম, মো. এমদাদ হোসেন, পিন্টু চক্রবর্তী, চন্দন সাহা, মো. আতিক হোসেন, ইলিয়াছ উদ্দিন লিপু, কাজী মো. মোস্তাফিজুর রহমান, মো. আবুল কালাম, মনোরঞ্জন চক্রবর্তী সবুজ, মো. সিরাজুল ইসলাম, মো. মাহবুবুল হাফিজ চৌধুরী (মসফিক), তাহমিন আহমদ, মো. আমিনুজ্জামান জোয়াহির, ওয়াহিদুজ্জামান চৌধুরী ও শমশের জামাল।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত