সিলেট টুডে ডেস্ক

২৩ জানুয়ারি, ২০১৫ ২২:২৩

নাশকতার প্রতিবাদে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের অবস্থান কর্মসূচী

সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, সিলেটের অবস্থান কর্মসূচি থেকে আন্দোলনের নামে দেশবিরোধী চক্রান্ত প্রতিহত করতে একাত্তরের মতো একাত্ম হয়ে রাজপথে নামার জন্যে জনগণের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।


সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, সিলেটের অবস্থান কর্মসূচি থেকে আন্দোলনের নামে দেশবিরোধী চক্রান্ত প্রতিহত করতে একাত্তরের মতো একাত্ম হয়ে রাজপথে নামার জন্যে জনগণের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
প্রায় তিনসপ্তাহ ধরে দেশজুড়ে চলমান সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, সহিংসতা, হত্যাকা- ও জ্বালাও-পোড়াওয়ের প্রতিবাদে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের ঘোষণা অনুযায়ী শুক্রবার বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়। একই সময়ে সারাদেশে অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
সিলেটের অবস্থান কর্মসূচিতে সংস্কৃতিকর্মী ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।

অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, সিলেটের সহ সভাপতি আল-আজাদের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম সেলিম। প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক বশির আহমদ জুয়েলের পরিচালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রবীণ নাট্যব্যক্তিত্ব শমসের হোসেইন, উর্বশী আবৃত্তি পরিষদ সিলেটের সভাপতি মোকাদ্দেস বাবুল, আনন্দলোক সিলেটের পরিচালক রানা কুমার সিনহা, ওয়ার্কার্স পার্টির জেলা সম্পাদক সিকন্দর আলী, জাসদের জেলা সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) কে.এ কিবরিয়া, যুক্তরাজ্য সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবুল মনসুর লীলু, সংস্কৃতিকর্মী এনামুল মুনীর, শামসুল বাসিত শেরো, সম্মিলিত নাট্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রজত কান্তি গুপ্ত, রুখে দাঁড়াও বাংলাদেশের সংগঠক অ্যাডভোকেট গোলাম সোবহান চৌধুরী দিপন, বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতির মহানগর সভাপতি অধ্যাপক মো. আব্দুল জলিল, সিলেট বিভাগ সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের সদস্য রেজাউল ইসলাম তালুকদার রাজু, শিশু সাহিত্যিক অ্যাডভোকেট সুফিয়ান আহমদ চৌধুরী, ছড়া নিকেতন সিলেটের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক বিধুভূষণ ভট্টাচার্য, সংক্ষুব্ধ নাগরিক আন্দোলনের সমন্বয়ক আবদুল করিম কিম, বাংলাদেশ পয়েটস ক্লাবের সভাপতি মুস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী, অনলাইন রিপোর্টার্স অ্যাসোশিয়েসন সিলেটের সভাপতি অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম খান, সিলেট সাহিত্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জাফর ওবায়েদ, প্রারম্ভিকা প্রকাশ সিলেটের পরিচালক ধ্রুব গৌতম, সিলেট জেলা যুব মহিলা লীগ নেতা তাসমীহ বিনতে স্বর্ণা প্রমুখ।

এ ছাড়াও সংহতি প্রকাশ করেন, মোহাম্মদ হোসাইন, মিলু কাশেম, মো. জহির খান লায়েক, অংশুমান দত্ত অঞ্জন, মুফতি আবদুল খাবির, শাহাদত বখত শাহেদ, আবিদ ফায়সাল, ফাতেমা সুলতানা অন্যা, অ্যাডভোকেট সত্যজিৎ কুমার দাস, মো. শিব্বির আহমদ, বেলাল হোসেন রতন, সালাহ উদ্দিন মোহাম্মদ, হাবিবুল হক, এমরান উদ্দিন ফয়ছল, মোহাম্মদ শরীফ গাজী, হাসান শিকদার সেলিম, ফুয়াদুল ইসলাম চৌধুরী কানন, মুক্তাদির আহমদ (জুয়েল), মুহিবুর রহমান মজনু, সৈয়দ মুক্তদা হামিদ, মো. আবদুর রব, রশিদুল ইসলাম রাশেদ, সুরঞ্জিত বর্মণ, খোকন ফকির, খতিবুর রহমান জামাল, ইউসুফ আলী, মো. আজিজুর গনি রাজু, অনিকেত রুদ্র, আশরাফুল কবির, খসরুর রশিদ, শাহেনা বেগম চৌধুরী, সুকান্ত গুপ্ত, বিমল কর, মোহাম্মদ আঙ্গুর মিয়া, সুমি আক্তার, ফারজানা বেগম, রাজিউল ইসলাম তালুকদার রাজু, মো. সাহেদ আহমদ, আবদুল হাসিব চৌধুরী, এফ.এ মুন্না, সানজানা মেহজাবীন, এম.এস.এ মাসুম খান।
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার মাধ্যমে একাত্তরের পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে জামায়াতে ইসলামী যে ষড়যন্ত্র করেছে ক্ষমতালিপ্সু বিএনপি তা বাস্তবায়নের দায়িত্ব নিয়েছে।

তারা বলেন, ব্যর্থ রাষ্ট্র্রে পরিণত হবার জন্যে রক্তসাগর পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশ জন্ম নেয়নি। তাই এ চক্রান্তের বিরুদ্ধে ১৬ কোটি মানুষকে গর্জে উঠতে হবে। প্রিয় জন্মভূমির এই সংকটকালে সংস্কৃতিকর্মীরা ঘরে বসে থাকতে পারেনা। সাধারণ মানুষকেও রাজপথে নামতে হবে।
বক্তারা বলেন, পুড়িয়ে মানুষ হত্যা রাজনীতি বা গণতন্ত্র নয়-এটা আসলে বিকৃত মানসিকতা। বাংলাদেশের মানুষ একাত্তরে জামায়াতে ইসলামীর এই মানসিক বিকৃতি প্রত্যক্ষ করেছিল।তারা চলমান বর্বরতা দমনে আরো কঠোর হতে সরকারে প্রতি আহ্বান জানান। একই সাথে বক্তারা দুর্বৃত্তদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দিতে দেশবাসীকে অনুরোধ করেন।

বক্তারা সন্ত্রাস-সংঘাতের পথ পরিহার করে রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে রাজপথে নামতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রতি আহ্বান জানান।
তারা বলে, অট্টালিকায় বসে যারা রাস্তায় মানুষকে পুড়িয়ে মারতে সন্ত্রাসীদের লেলিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশের জনগণ তাদেরকে ক্ষমা করবেনা।



আপনার মন্তব্য

আলোচিত