হবিগঞ্জে এনা পরিবহনের চলন্ত একটি বাসে তৃতীয় শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে গ্রেপ্তার সুপারভাইজার মনির মোল্লাকে (৪৫) কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি ২২ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন নির্যাতনের শিকার শিশুটি।

রোববার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে শিশুটিকে হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আছমা বেগমের আদালতে নেওয়া হয়। পরে বিচারক ২২ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে গ্রেপ্তার মনিরকে আদালতে সোপর্দ করলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বলে হবিগঞ্জ আদালতের পরিদর্শক মো. আল-আমিন জানান।

এর আগে, শনিবার (১২ অক্টোবর) বিকেলে ঢাকা-সিলেট মাহসড়কের শাস্তোগঞ্জের ওলিপুরে এ ঘটনা ঘটে। ওই দিনই মাধবপুরের ইটাখোলা এলাকা থেকে মনিরকে গ্রেপ্তার করা হয়। মনির নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি উপজেলার কাবিলপুর গ্রামের নাজির মিয়ার ছেলে।
 
হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার কর্চা গ্রামের অশ্বিনী বৈষ্ণব তার আট বছর বয়সী মেয়েসহ পরিবারের অন্য সদস্যদের নিয়ে হবিগঞ্জ-ঢাকা রোডে চলাচলরত এনা পরিবহনের একটি বাসে ঢাকা যাচ্ছিলেন। পথে শায়েস্তাগঞ্জের ওলিপুর ক্রস করার পর সুপারভাইজার কৌশলে ওই শিশু ছাত্রীকে গাড়ির পেছনের আসনে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এসময় মেয়েটি চিৎকার দিলে তার বাবা ও বাসের অন্য যাত্রীরা এগিয়ে গিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করেন এবং সুপারভাইজারকে পিটুনি দেন।

অন্যদিকে, তারা পুলিশকে খবর দিলে বাসটি মাধবপুরের ইটাখোলা এলাকায় পৌঁছালে পুলিশ সুপারভাইজার মনিরকে আটক করে ও বাসটি জব্দ করে। পরে মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে মনিরকে আসামি করে মাধবপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।