গোয়াইনঘাটের জাফলংয়ে বনবিভাগের ভূমি জবর দখলে বাধা দেয়ায় সন্ত্রাসী হামলায় ৪ বনপ্রহরী আহত হয়েছেন। তাদের গোয়াইনঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তাদের মধ্যে হুমায়ন কবিরের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে।  

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে নয়টায় এই ঘটনায় জাফলং বিট কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম বাদী হয়ে গোয়াইনঘাট থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

বনবিভাগ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, বুধবার সকাল ১১টায় গোয়াইনঘাটের পূর্ব জাফলংয়ে চৈলাখেল ৪র্থখণ্ড মৌজাধীন জাফলং বনভিটের সংরক্ষিত বনভূমির জবর দখলের চেষ্টা চালায় একই এলাকার শান্তিনগর গ্রামের আব্দুস সাত্তার, খোকন, আব্দুল মোতালিব গংসহ আর ৮ থেকে ৯জন ব্যক্তিবর্গ। এসময় খবর পেয়ে সেখানে উপস্থিত হন বনপ্রহরী হুমায়ন কবির, ফারুক মিয়া, নাজিম উদ্দিন, মাহবুবুল আলম বদরী। তারা সেখানে গিয়ে বনের ভূমি দখলের বাধা দেন। এসময় দখলদার চক্রের সদস্য একই এলাকার শান্তিনগর গ্রামের আব্দুস সাত্তার, খোকন, আব্দুল মোতালিব গংসহ আর ৮ থেকে ৯জন ব্যক্তিবর্গ তাদের উপেক্ষা করে ঘর নির্মাণের চেষ্টা চালালে আবারও বাধা দেন তারা।

এসময় দখলদার চক্রের বেদম মারপিট ও হামলায় শিকার হন বনকর্মীরা। তাদের হামলায় মারাত্মক আহত হন বনপ্রহরী সদস্য হুমায়ন কবির, ফারুক মিয়া, নাজিম উদ্দিন, মাহবুবুল আলম বদরী। তাদেরকে আহত করে সন্ত্রাসীরা তাদের নিজেদের একটি ঘরে অবরুদ্ধ করে রাখে।

খবর পেয়ে জাফলং বনভিট কর্মকর্তা মো. জহিরুল ইসলাম স্থানীয় নেতৃস্থানীয়দের সহায়তায় তাদের উদ্ধার করে গোয়াইনঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। আহতদের মধ্যে বনপ্রহরী হুমায়ন কবিরের অবস্থা গুরুতর।

জাফলং বনভিট কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম জানান, জাফলং বনভিটের ভূমির শান্তিনগর এলাকায় আমাদের বনের ভূমি জবরদখলের চেষ্টা চালায় সাত্তার, খোকন, মোতালিবসহ কতিপয় ভূমিখেকো চক্র। খবর পেয়ে তাদের এই অবৈধ তৎপরতায় আমাদের সদস্যরা বাধা দেয়ায় সন্ত্রাসীদের হামলায় আমাদের ৪জন সদস্য আহত হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে গোয়াইনঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহত বনপ্রহরী হুমায়ন কবিরের অবস্থা গুরুতর।

এ ব্যাপারে গোয়াইনঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আব্দুল আহাদ জানান, হামলার ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।