সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার সুদের টাকার জন্য শিক্ষিকাকে বেধড়ক মারধর করেছে এক ব্যক্তি। এঘটনায় উপজেলার দক্ষিনশ্রীপুর ইউনিয়নের পাঠাবুকা গ্রামের মোফাজ্জলকে বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টায় তাহিরপুর থানা পুলিশ আটক করে। আটকের পর উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি অজয় কুমার দে মোফাজ্জলকে তাহিরপুর থানা পুলিশ হতে জিম্মায় ছাড়িয়ে নিয়ে আসেন।

শিক্ষক সমিতির সভাপতি সুদখোর মোফাজ্জলকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসায় ক্ষোভ দেখা দিয়েছে উপজেলার অন্যান্য প্রাথমিক শিক্ষকদের মধ্যে।

বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় তাহিরপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে এ ঘটে। আহত শিক্ষিকা তাহিরপুর উপজেলার শ্রীপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের সুলেমানপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
 
জানা যায়, শিক্ষকা বেবী রাণী তালুকদার বছর দু’এক পূর্বে একই ইউনিয়নরে পাঠাবুকা গ্রামের আব্দুল হকের পুত্র মোফাজ্জলের নিকট ১লক্ষ টাকা থেকে সুদে ধার নেন(প্রতি মাসে ১০হাজার টাকা সুদে)। পরবর্তীতে তিনি প্রতি মাসে সুদের দশ হাজার টাকা করে পরিশোধ করে আসছিলেন। এভাবে কয়েক মাস অতিবাহিত হওয়ার পর তাহিরপুর উপজেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অজয় কুমার দে’র মধ্যস্থতায় প্রথমে ৫০ হাজার টাকার চেক এবং দ্বিতীয় দফায় ৬০হাজার টাকার চেকের মাধ্যমে সুদখোর মহাজন মোফাজ্জলের সাথে তিনি লেনাদেন নিস্পত্তি করেন। কিন্তু মোফাজ্জল শিক্ষিকার নিকট আরো টাকা দাবী করে আসছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় শিক্ষিকা বেবী রানী বৃহম্পতিবার তাহিরপুর উপজেলা সদরে আসলে মোফাজ্জল তার কাছে টাকা দাবী করেন এবং তিনি অপারগতা প্রকাশ করলে তাকে মারধর করেন। ঘটনাটি জানাজানি হলে তাৎক্ষনিক মূহুর্তে তাহিরপুর থানা পুলিশ মোফাজ্জলকে আটক করে।

তাহিরপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি অজয় কুমার দে বলেন, ঘটনায় আটককৃত মোফাজ্জলকে আমার জিম্মায় দেয়া হয়। ঘটনার দৃস্টান্তমূল বিচার হবে।

মুকসেদপর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দীপঙ্কর ভট্রাচায্য বলেন, আমরা চাই সুদেখোর মহাজনকে আইনের আওতায় এনে তার বিচার হোক। কিন্তু থানা পুলিশ আটক করে নিয়ে যাওয়ার পর প্রধান শিক্ষক কেন সুদখোর মহাজন কে তার জিম্মায় নিয়ে আসেন তা আমাদের জানা নাই।

তাহিরপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আতিকুর রহমান বলেন, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি শিক্ষিকা বেবী রানী তালুকদার এর স্বামীকে নিয়ে থানায় আসেন। তাই উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি অজয় কুমার দের জিম্মায় মোফাজ্জল কে দিয়ে দেয়া হয়েছে। উপযুক্ত বিচার না করতে পারলে তিনি তাকে আবারো থানা হাজতে সোপর্দ করবেন।