সিলেটটুডে ডেস্ক

২৩ ফেব্রুয়ারি , ২০২০ ১৭:০৩

সিলেটে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে: পরিকল্পনামন্ত্রী

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, দেশের হাওরাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থার দৈন্যদশার পরিবর্তন আনার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ইতিমধ্যে সুনামগঞ্জ থেকে ময়মনসিংহ পর্যন্ত সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপনের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১৩ কিলোমিটার এলিভেটেড সড়কও হবে। তিনি বলেন, এ প্রকল্পে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা ব্যয় হবে। তখন হাওরের উত্তাল ঢেউয়ের মাঝে আমরা সড়ক দিয়ে গাড়ি চালাব। বৃহস্পতিবার রাতে সিলেট প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সিলেট প্রেসক্লাবের সদ্য সাবেক সভাপতি ও অভিষেক উদযাপন কমিটির আহবায়ক ইকরামুল কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশেষ অতিথি ছিলেন সিলেট সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সিলেটে একটি প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে জানিয়ে জানিয়ে বলেন, আমার সহকর্মী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনসহ সিলেটের অন্য যারা মন্ত্রী আছি, সে বিষয়ে আমরা চেষ্টা চালাচ্ছি। সিলেটের উন্নয়নে সাবেক মন্ত্রী আব্দুস সামাদ আজাদ, এম সাইফুর রহমান, স্পীকার হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী ও সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, জেনারেল আতাউল গণি ওসমানীর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাদের প্রেরণা আমার উন্নয়নের শক্তি-সাহস বাড়িয়ে দেয়।
তিনি বলেন, পৃথিবীতে অন্যতম মহৎ পেশা সাংবাদিকতা। সিলেটের সাংবাদিকরা অতীতের গৌরবোজ্জ্বল পথ ধরে এগিয়ে যাচ্ছেন। সামাজিক যে বিবর্তন এসেছে সেখানে সরাসরি ভুমিকা রেখেছেন সাংবাদিকরা।
 
পরিকল্পনামন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশ অভাবনীয় সাফল্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। সেই ধারাবাহিকতায় এগিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী জনপথ সিলেট। সেই সাফল্যপথে শাণিত ভুমিকা রাখছেন এ অঞ্চলের সাংবাদিকরা।

বিশেষ অতিথি সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, সিলেটের উন্নয়নে পরিকল্পনামন্ত্রী খুবই আন্তরিক। যখনি নগরের উন্নয়নে তাঁর কাছে গেছি, সহজে সেগুলো পেয়েছি। সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতও সিলেটের উন্নয়নে কখনো কার্পণ্য করেননি। তিনি বলেন, প্রধান অতিথি সিলেটের সার্বিক উন্নয়নের পাশাপাশি সিলেট প্রেসক্লাবের উন্নয়নে যে ভুমিকা রেখেছেন তা স্মরণীয় হয়ে থাকবে। এ উন্নয়ন ধারবাহিক রাখতে সবার আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন মেয়র।

অভিষেক উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ইকবাল মাহমুদের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন সিলেট প্রেসক্লাব সভাপতি ইকবাল সিদ্দিকী, সিলেটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন, সিলেট চেম্বারের সভাপতি আবু তাহের মো. শোয়েব, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন খান অ্যাডভোকেট, সিলেট প্রেসক্লাবের আইন উপদেষ্টা এমাদউল্লাহ শহিদুল ইসলাম শাহিন, সিলেট প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি হারুনুজ্জামান চৌধুরী, সাবেক সভাপতি ও দৈনিক সিলেট মিরর সম্পাদক আহমেদ নূর, দৈনিক সিলেটের ডাকের নির্বাহী সম্পাদক আবদুল হামিদ মানিক, দৈনিক সবুজ সিলেটের উপ-সম্পাদক আ ফ ম সাঈদ, ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন সিলেট বিভাগীয় কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আতাউর রহমান আতা, ওকাসের সভাপতি খালেদ আহমদ, ইমজার সাধারণ সম্পাদক সজল ছত্রী ও সিলেট প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ মো. রেনু। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন, সাংবাদিক আব্দুর রাজ্জাক ও পবিত্র গীতা থেকে পাঠ করেন নিরানন্দ পাল।

অভিষুক্তরা হচ্ছেন সভাপতি ইকবাল সিদ্দিকী, সহ সভাপতি এম এ হান্নান ও আব্দুল কাদের তাপাদার, সহ সাধারণ সম্পাদক আহমাদ সেলিম, কোষাধ্যক্ষ কাউসার চৌধুরী, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মারুফ আহমদ, পাঠাগার ও প্রকাশনা সম্পাদক কবির আহমদ নির্বাহী সদস্য ইকরামুল কবির, ইকবাল মাহমুদ, আশকার আমীন লস্কর রাব্বী, এম আহমদ আলী ও আব্দুর রাজ্জাক।
অনুষ্ঠানের অতিথি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম নাদেল তাঁর বক্তব্যে বলেছেন, সিলেট ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়ও অনন্য অবদান রেখেছে। সেখানে সাংবাদিকদের ভুমিকা ছিলো উল্লেখযোগ্য। তিনি সিলেট প্রেসক্লাবের অভিষেক অনুষ্ঠানসহ বছরের শুরুতে বেশ কয়েকটি নতুন সংগঠনের নতুন দায়িত্বগ্রহণকে চারপাশে নতুনের আবাহন উল্লেখ করে সিলেটের সার্বিক উন্নয়নে একইভাবে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ বলেন, সিলেটের সাংবাদিকদের আলাদা ঐতিহ্য রয়েছে। সিলেটের উন্নয়নে যতগুলো ন্যায়সঙ্গ এবং জনবান্ধব আন্দোলন হয়েছে সেখানে তারা ইতিবাচক ভুমিকা রেখেছেন। সেখানে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে সেখানেও তারা সুন্দর সমাধানে এগিয়ে এসেছেন। এ সময় তিনি অতীতের মতো ভবিষ্যতেও সিলেট প্রেসক্লাবের সাথে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নাসির উদ্দিন খান বলেন, সাংবাদিকরা জাতির বিবেক। সিলেটের সার্বিক উন্নয়নে তারা সবসময় ইতিবাচক ভুমিকা রেখেছেন। নতুন কমিটিকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, সাংবাদিকদের অধিকার আদায়ে সিলেট প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি প্রশংসনীয় ভুমিকা রাখবে। তাদের বলিষ্ট নেতৃত্বে সিলেটের উন্নয়ন আরো সুন্দর হবে।
সিলেট প্রেসক্লাব সভাপতি ইকবাল সিদ্দিকী বলেন, সাংবাদিকতা পেশার সম্মান, মর্যাদা বেড়েছে। সুযোগ-সুবিধা বেড়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে চ্যালেঞ্জ। সেই পথে বড় চ্যালেঞ্জিং হয়ে সামনে এসেছে অনলাইন সাংবাদিকতা। তিনি বলেন, সিলেটের সাংবাদিকতার জগতটি অনেক প্রসারিত হয়েছে। সেই উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় এ অঞ্চলের ঐতিহ্য রক্ষায় সর্বোচ্চ সততার স্বাক্ষর রেখে চলেছেন সাংবাদিকরা।

শুভেচ্ছা বক্তব্যে দৈনিক সিলেট মিরর সম্পাদক আহমেদ নূর বলেন, সিলেটের সাংবাদিকতার ইতিহাস উজ্জ্বল। সবকটি মৌলিক আন্দোলনে অগ্রভাগে ছিলেন সাংবাদিকরা। তিনি বলেন, সিলেট প্রেসক্লাবের উন্নয়নে অনন্য নজির তৈরী করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তাঁর নেতৃত্বে প্রেসক্লাব আগামীতেও পুর্ণাঙ্গতা পাবে।  

আপনার মন্তব্য

আলোচিত