কিছু দিন ধরে যাদুকাটা নদীর ঘাগটিয়া জালরটেক এলাকায় রাতের আঁধারে তীর কেটে বালু উত্তোলন করায় হুমকির মুখে পড়েছিল যাদুকাটা নদীতে নির্মাণাধীন হযরত শাহ্ আরেফীন (র.) ও অদ্বৈত মৈত্রী সেতুটি। মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) দুপুরে তাহিরপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা বিজেন ব্যানার্জী সরেজমিনে সেই জায়গা পরিদর্শন করেন।

তখন তিনি হযরত শাহ্ আরেফীন (র.) ও অদ্বৈত মৈত্রী সেতু এলাকার আশপাশের ১ কিলোমিটারের মধ্যে সব ধরণের বালি-পাথর উত্তোলনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। এই আদেশ লঙ্ঘনকারীদের কঠোর ভাবে দমন করা হবে বলে হুশিয়ারি করেন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা বিজেন ব্যানার্জী।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন,তাহিরপুর থানার বাদাঘাট পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই মাহমুদুল হাসান, এএসআই বিল্লাল হোসেন,হযরত শাহ্ আরেফীন (র.) ও অদ্বৈত মৈত্রী সেতুর প্রজেক্ট ম্যানেজার মিয়া এম ডি নাসিরসহ এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজন।

এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় প্রশাসনকে সাধুবাদ জানিয়েছেন পরিবেশ ও হাওর উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি কাশমির রেজাসহ এলাকার সচেতন মহল।

এর আগে উপজেলা আ.লীগের সদস্য ও বাদাঘাট বাজার বনিক সমিতির সভাপতি সেলিম হায়দার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এ বিষয়ে একটি স্ট্যাটাস দেন। সেই স্ট্যাটাসে এলাকায় আলোচনার সৃষ্টি হয়। এরপরই প্রশাসন সেখানে গিয়ে নিষেধাজ্ঞা জারী করে।

তাহিরপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা বিজেন ব্যানার্জী বলেন, নির্মাণাধীন সেতু এলাকায় কোন ধরণের বালি-পাথর উত্তোলন ও গর্ত করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছ। তাই উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের গড়কাটি ও বিন্নাকুলী এলাকায় নির্মাণাধীন ৭৫০মিটার দৈর্ঘ্যের দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সেতু হযরত শাহ্ আরেফীন (র.) ও অদ্বৈত মৈত্রী সেতু এলাকার আশপাশের ১ কিলোমিটারের মধ্যে সব ধরণের বালি-পাথর উত্তোলনে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এই আদেশ লঙ্ঘনকারীদের কঠোর ভাবে দমন করা হবে বলে হুশিয়ারি করেন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা।

এ ব্যাপারে পরিবেশ ও হাওর উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি কাশমির রেজা বলেন, আমরা বার প্রশাসনের কাছে জোরালো দাবী জানিয়ে আসছি পরিবেশ নষ্টকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ভাবে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য। কারণ নদীর পাড় কাটার সাথে জড়িত আছেন কিছু প্রভাবশালী। তাই এখনই কঠোর ভাবে পদক্ষেপ না নিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ প্রকল্পের মাধ্যমে নির্মাণাধীন তাহিরপুর উপজেলাবাসীর স্বপ্নের সেতুটি ও এই এলাকার পরিবেশে বিপন্ন হবে। আজ প্রশাসন নিষেধাজ্ঞা জারী করার পর নজরদারী রাখতে হবে।