মৌলভীবাজারের বড়লেখায় প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে এসে ঘোরাফেরার অপরাধে ২২ ব্যক্তিকে অর্থদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালতে।

শনিবার (৪ এপ্রিল) উপজেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ পর্যবেক্ষণকালে পৌরসভা, কাননগোবাজার ও দাসেরবাজার এলাকায় তাদের জরিমানা করা হয়। আদালত পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুসরাত লায়লা নীরা। দুপুর আড়াইটা থেকে ৫টা পর্যন্ত এই অভিযান চলে।

প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে প্রতিদিন প্রশাসন, সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথভাবে জনসাধারণকে অকারণে হাটবাজারে ঘোরাফেরা না করার জন্য প্রচারণা চালিয়ে আসছিল। এরপরও মানুষ নিষেধাজ্ঞা না মেনে কোনো কারণ ছাড়াই হাটবাজারে ঘোরাফেরা করছিল। শনিবার দুপুর আড়াইটায় প্রশাসন, সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথভাবে পর্যবেক্ষণ শুরু করে।

এইসময় কোনো কারণ ছাড়া হাটবাজার ও সড়কে ঘোরাফেরা করার কারণে ২২ ব্যক্তিকে মোট ১৫ হাজার ৬০০শত টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এদের মধ্যে বড়লেখা পৌরসভা এলাকায় ১৪ জনকে, তালিমপুর ইউনিয়নের কাননগোবাজারে ৩ জনকে ও দাসেরবাজার বাজার ইউনিয়নের দাসেরবাজারে ৫ জনকে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। বড়লেখা পৌরসভা এলাকার ১৪ জনের মধ্যে ১ জন সেলুন মালিক ও তিনজন ফার্নিচারের দোকানী। ফার্নিচারের তিন দোকানীর প্রত্যেককে ৩ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সেলুন খুলে পাঁচ ছয়জনে একসাথে বসে আড্ডা দেওয়ায় সেলুন মালিককে ১ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। দণ্ডিত অন্যরা সকলে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে হাটবাজারগুলোতে ও সড়কে ঘোরাফেরা করছিলেন। কেউই ঘোরাফেরা করার কোনো যৌক্তিক কারণ জানাতে পারেনি।

এই সময় উপস্থিত ছিলেন সেনাবাহিনীর ১৭ পদাতিক ডিভিশন, সিলেট সেনানিবাসের অধীনস্থ সেনা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট নাজমুস সাকিব, বড়লেখা থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) কৃষ্ণমোহন দেবনাথ।

বড়লেখার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুসরাত লায়লা নীরা অর্থদণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে প্রশাসন, সেনাবাহিনী ও পুলিশ প্রতিদিন জনসাধারণকে সচেতন করতে কাজ করছে। মাইকিং হচ্ছে। অযথা ঘোরাফেরা না করতে আহবান করা হচ্ছে। তারপরও মানুষ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অকারণে বের হচ্ছেন। কোনো কারণ ছাড়া বের হওয়ায় ২২ জনকে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।’