নিজস্ব প্রতিবেদক

২১ এপ্রিল, ২০২০ ১৫:৪৩

সিলেটের ব্যবসায়ীদের জন্য ১ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনার আহবান

সিলেটের ব্যবসায়ীদের জন্য ১ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্রদানের জন্য আহবান জানিয়েছেন সিলেট চেম্বারের সভাপতি আবু তাহের মো. শোয়েব।

মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) সিলেট চেম্বারের সভাপতি স্বাক্ষরিত পত্রের মাধ্যমে সিলেটের ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া তুলে ধরা হয় প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী, পরিকল্পনামন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে।

বিজ্ঞাপন

পত্রে বলা হয়, সিলেটে কোন ভারী শিল্প প্রতিষ্ঠান নেই। সবাই ট্রেডিং ব্যবসা, আমদানি ও রপ্তানির সাথে জড়িত। বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক গত ২৬ মার্চ থেকে শুধুমাত্র নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও ঔষধের দোকান ব্যতীত সকল ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় স্থবির হয়ে পড়েছে সারাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। সিলেটের ব্যবসায়ীরা ও নজিরবিহীন আর্থিক ও ব্যবসায়িক সঙ্কটের মুখোমুখি হয়েছেন।

সিলেটের ব্যবসায়ীদের এই ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নিতে সিলেটের ব্যবসায়ীদের জন্য ১ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্রদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী, পরিকল্পনা মন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ জানান সিলেট চেম্বারের সভাপতি জনাব আবু তাহের মো. শোয়েব।

সিলেটের ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন দাবিগুলো হলো-

  • সার্ভিস সেক্টরের সাথে যারা জড়িত যেমন- হোটেল-রেস্টুরেন্ট, গণপরিবহন ব্যবসাসহ প্রায় সব বন্ধ রয়েছে। তাছাড়া ট্রেডিং ব্যবসার সাথে যারা জড়িত রয়েছেন তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। তাই সিলেটের ব্যবসায়ীদের জন্য ১ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা প্যাকেজ প্রদানের জন্য বিশেষ অনুরোধ জানাচ্ছি।
  • বর্তমানে সিলেটের অনেক ব্যবসায়ীরা ঋণ গ্রহণপূর্বক ব্যবসা-বাণিজ্য চালিয়ে আসছিলেন। কিন্তু বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ঋণের কিস্তি প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই চলমান পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠে ব্যবসা-বাণিজ্য স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত সকল ব্যাংক ঋণের কিস্তি স্থগিত রাখা এবং বন্ধকালীন সময়ে সুদ মওকুফ রাখার অনুরোধ জানাচ্ছি।
  • বন্ধকালীন সময়ে বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস বিল, পানির বিল, হোল্ডিং ট্যাক্স মওকুফের ব্যবস্থা করা।
  • ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের এককালীন প্রণোদনা প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ।
  • করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসার পূর্ব পর্যন্ত ভ্যাট রিটার্ন দাখিল প্রক্রিয়ার সময়সীমা জরিমানা ব্যতীত বৃদ্ধি বা সাময়িক বন্ধ রাখা।
  • দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত আমদানিকৃত কয়লা ও পাথরের ব্যাংক ঋণ ও এলসিকৃত মার্জিনের উপর সুদ মওকুফ করার অনুরোধ জানাচ্ছি।
  • বন্ধ থাকা প্রতিষ্ঠানসমূহের যেসব কর্মচারীরা সম্পূর্ণভাবে বেতনের উপর নির্ভরশীল তাদের বেতন প্রদানের ব্যবস্থা করা।

উপরোক্ত বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সিলেটের সর্বস্তরের ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে ও সিলেট চেম্বারের পরিচালনা পরিষদের পক্ষ থেকে বিশেষ অনুরোধ জানানো হয়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত