মৌলভীবাজারে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬ জন তার মধ্যে ২ জন করোনা ধরা পরার আগেই মারা গেছেন। তাদের মৃত দেহ থেকে নমুনা নিয়ে পরীক্ষা করা হলে জানা যায় তারা আক্রান্ত ছিলেন। এর মধ্যে শুক্রবার রাতে নতুন দুইজন আক্রান্ত হন । এই দুজনের মধ্যে একজন ব্যাংক কর্মকর্তা। তার পরিবার ঢাকায় থাকে। তিনি যেন নিজেকে একা মনে না করেন ও তার মনোবল চাঙ্গা রাখতে তার কাছে ফলের ঝুড়ি পাঠালেন মৌলভীবাজার জেলা পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ।

জেলা সিভিল সার্জন অফিসের তথ্য অনুসারে নতুন আক্রান্ত ২ জনের একজন জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার। এই রোগীর মাধ্যমে মূলত শ্রীমঙ্গলে প্রথম করোনা ধরা পরল। আক্রান্ত এই ব্যক্তি একজন ব্যাংক কর্মকর্তা। শ্রীমঙ্গলের একটি বাসায় আরও ১০ জন কর্মকর্তার সাথে ম্যাচে করে থাকেন। পরিবার থাকে ঢাকা। এই ব্যক্তি যেন নিজেকে একা মনে না করেন এবং মানসিক ভাবে ভেঙ্গে না পরেন তাই তার সাথে বারবার যোগাযোগ রাখছেন শ্রীমঙ্গল সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আশরাফুজ্জামান আশিক।

তিনি জানান, এই রোগীর নিজ থেকে গিয়ে পরীক্ষা করিয়েছেন এবং করোনা পজিটিভ ধরা পরে। আমরা জানি মানসিক শক্তি যেকোনো রোগের বিরুদ্ধে বা বিপদে সব চেয়ে কার্যকরী। আমি নিজে বারবার উনার খবর নিচ্ছি কোন কিছু লাগবে কিনা জানতে চাইছি। আপাতত উনার বাসায় সব কিছু আছে তবুও যেকোনো প্রয়োজনে আমার সাথে যোগাযোগ করতে বলেছি এবং আজ বিকেলে এই ব্যক্তির জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে একটি ফলের জুড়ি পাঠানো হয়েছে । করোনা পজিটিভ আসা ঐ ব্যক্তি বর্তমানে সুস্থ আছেন। বাসাটি লকডাউন আছে।

এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ বলেন, আজ প্রথম রোজা তার উপর আক্রান্ত ব্যক্তি একা থাকেন পরিবার ছাড়া। তাই আক্রান্ত ব্যক্তির মনোবল শক্ত রাখার জন্য শ্রীমঙ্গল সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার এর মাধ্যমে এই ফলের ঝুড়ি পাঠিয়েছি এবং লিখে দিয়েছি ‘সবাই মিলে করোনা করব জয়’।