সিলেটটুডে ডেস্ক

২২ জানুয়ারি, ২০১৭ ২৩:১৯

তোফাজ্জলের দুই সন্তান ও নাতির জন্য মেডিকেল টিম গঠন

মেহেরপুরে দুরারোগ্য ব্যাধি ডুসিনি মাসকুলার ডিসট্রোফি রোগে আক্রান্ত তিন রোগীর চিকিৎসায় তিন সদস্যের একটি মেডিকেল টিম গঠন করেছেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. রাশেদা সুলতানা।

রোববার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে তার নেতৃত্বে মেডিকেল টিম মেহেরপুর শহরের বেড়পাড়ায় তোফাজ্জল হোসেনের বাড়িতে যান। সেখানে তারা তোফাজ্জলের রোগাক্রান্ত দুই সন্তান ও নাতির খোঁজখবর নেন ও তাদের চিকিৎসার কাগজপত্র পর্যবেক্ষণ করেন।

মেডিকেল টিমের সদস্যরা হলেন— মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সিনিয়র কনসালট্যান্ট আশিশ কুমার দেবনাথ, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা. অলোক কুমার দাস, মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের আরএমও এবং শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. এহসানুল কবীর।

ডা. রাশেদা সুলতানা জানান, এটি জিনগত সমস্যা। এ রোগের কোনো চিকিৎসা নেই। শুধু ছেলেরাই ডুসিনি মাসকুলার ডিসট্রোফি রোগে আক্রান্ত হয়। জন্মের পর শিশু ভালোই থাকে। তবে এই রোগ হলে দুই থেকে তিন বছর বয়সে শিশু ঠিকমতো উঠে দাঁড়াতে পারে না। দাঁড়াতে গেলে হাঁটু বা কিছুতে ভর দিয়ে তাকে দাঁড়াতে হয়। রোগাক্রান্তদের শরীরের মাংসপেশিগুলো ধীরে ধীরে জমাট বেঁধে যায়। এক সময় তারা চলাফেরার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে ও মারা যায়। তবে এ রোগের চিকিৎসা না থাকলেও তাদের শরীরের অন্যান্য রোগের চিকিৎসা সম্ভব। এ মেডিকেল টিমের মাধ্যমে তাদের সার্বক্ষণিক চিকিৎসা দেওয়া হবে। এর আগে জেলা থেকে একটি মেডিকেল টিম গঠন করে তার রিপোর্ট স্বাস্থ্য বিভাগে পাঠানো রয়েছে। এখন আবার রোগীদের বিস্তারিত বিবরণ পাঠিয়ে  স্বাস্থ্য বিভাগের সহায়তা নেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি তোফাজ্জেল হোসেন দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত তার দুই সন্তান আবদুস সবুর (২৪), রায়হানুল ইসলাম (১৩) ও নাতি সৌরভের 'মৃত্যুর' অনুমতি চেয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেন। সন্তানদের ও নাতির কষ্ট সইতে না পেরে তিনি এমন আবেদন করেন বলে জানান।

ঘটনাটি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচার হলে পুরো দেশে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়। বর্তমানে খুলনা বিভাগীয় কমিশনার, মেহেরপুরের জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ তোফাজ্জলের পরিবারের খোঁজ-খবর নেওয়াসহ নানা রকম সহায়তা করছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত