সিলেটটুডে ডেস্ক

২৩ জানুয়ারি, ২০১৭ ০২:০৪

কলকাতার সঙ্গে সরাসরি রেলে যুক্ত হচ্ছে যশোর

খুলনার সঙ্গে কলকাতার সরাসরি রেল যোগাযোগে শুরুতেই যুক্ত হচ্ছে যশোর। খুলনা থেকে যশোর হয়ে কলকাতায় যাতায়াত করবে 'মৈত্রী এক্সপ্রেস -২'।

এ রেল যোগাযোগ চালুর জন্য যশোর অংশে কাজ চলছে পুরোদমে। এই রুটে নিরবচ্ছিন্ন ও নিরাপদ চলাচল নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ রেলওয়ে যশোর জোনের আওতায় ইমিগ্রেশন, কাস্টমস ও পুলিশ ব্যারাক নির্মাণসহ বেনাপোল পর্যন্ত ৮ দশমিক ৮ কিলোমিটার রেলপাতি ও স্লিপার বসানোর কাজ চলছে।

রেলওয়ে যশোর জোনের সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী বীরবল মণ্ডল জানান, অল্প সময়ের মধ্যেই রেল যোগাযোগের জন্য খুলনা-যশোর-বেনাপোল-কলকাতা রুট সংস্কার কাজ সম্পন্ন হবে। চলতি মাসের শেষ দিকে বা ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহের দিকে রেল যোগাযোগ চালু হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

এই পথে রেল চালু হলে যশোর-বেনাপোল চেকপোস্ট থেকে কলকাতা পর্যন্ত ৮০ কিলোমিটার পথে কষ্ট, সময় ও খরচ কমে যাবে।

যশোর চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সভাপতি মিজানুর রহমান খান বলেন, 'এ রুটটি চালু এবং যশোর স্টেশনকে স্টপেজ হিসেবে আওতাভুক্ত করায় ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিধি যেমন বাড়বে, তেমনি সহজতর হবে যাতায়াত।'

সরেজমিন যশোর রেলস্টেশন থেকে মালঞ্চী এলাকায় দেখা যায়, বেশ জোরেশোরেই চলছে রেলপাতি ও স্লিপার বসানোর কাজ। কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে শ্রমিকরা যশোর রেলস্টেশন থেকে ট্রলিতে করে রেলপাতি, স্লিপার ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ঠেলে পৌঁছে দিচ্ছেন কাজের স্থানে। বাকিরা সেগুলোকে নিয়ে বসিয়ে দিচ্ছেন যথাযথ স্থানে।

খোলাডাঙ্গা এলাকায় কর্মরত শ্রমিকরা জানান, প্রতিদিন সকাল থেকে বিকেল অবধি নির্দেশনা অনুযায়ী তারা কাজ করছেন।

যশোর রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানায়, বেনাপোল বন্দরে ইমিগ্রেশন ভবন তৈরিতে ব্যয় হয়েছে ৯৩ লাখ টাকা। তার পাশে ৭৩ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন রয়েছে কাস্টমস ভবন ও ৪৪ লাখ টাকা ব্যয়ে যাত্রী নিরাপত্তার জন্য রেলওয়ে পুলিশের একটি ব্যারাক। বর্তমানে সেখানে রঙ ও টাইলস বসানোর কাজ চলছে। শুধু এই তিনটি অবকাঠামোতে সরকার ব্যয় করছে ২ কোটি ১০ লাখ টাকা। এ ছাড়া রেললাইন সংস্কার ও স্লিপার বসানো হচ্ছে। যশোর থেকে বেনাপোল পর্যন্ত ৩৭ কিলোমিটার পথের মধ্যে ৮ দশমিক ৮ কিলোমিটার রেলপাতি ও স্লিপার বসানোর কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে।

রেলওয়ে যশোর জোন জানিয়েছে, এ পর্যন্ত ১৭৮টি স্টিলের স্লিপার বসানো হয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত