০১ ডিসেম্বর, ২০১৯ ১৮:০৭
তেল বিক্রির কমিশন বৃদ্ধিসহ ১৫ দফা দাবিতে পেট্রোল পাম্প ও ট্যাংক লরি মালিক-শ্রমিকদের কর্মবিরতিতে যশোর-খুলনাসহ রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে জ্বালানি তেল বিক্রি বন্ধ রয়েছে। এতে জ্বালানি তেল উত্তোলন, পরিবহন ও বিপণন কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
রোববার (১ ডিসেম্বর) ভোর ৬টা থেকে জ্বালানি তেল বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে বেনাপোলের পেট্রোল পাম্প মালিকেরা।
তেল বিক্রি বন্ধের প্রভাব পড়েছে বেনাপোল বন্দরে। ধর্মঘটের কারণে পাম্পগুলোতে জ্বালানি তেল বিপণন বন্ধ থাকায় মোটরসাইকেল চালকসহ বিভিন্ন পরিবহনের শ্রমিকরা ভোগান্তিতে পড়েছেন।
পেট্রোল পাম্প ধর্মঘটের বিষয়টি জানা না থাকায় তেল নিতে এসে গ্রাহকরা হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন। অনেকে আবার তেল সংকটের কারনে জরুরি প্রয়োজন গন্তব্যে যেতে পারছেন না।
ট্রাক চালকেরা জানান, বেনাপোল বন্দর থেকে পণ্য বোঝায় করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু তেল পাম্পে তেল বিক্রি না করায় পণ্য বোঝাই করার সাহস পাচ্ছিনা।
মোটরসাইকেল চালক সাংবাদিক এম ওসমান জানান, জরুরি কাজের ও সংবাদ সংগ্রহে বিভিন্ন স্থানে যেতে হয়। কিন্তু পেট্রোল পাম্প বন্ধ থাকায় তেল নিতে পারছিনা। কোথাও বের হতেও পারছিনা।
তিনি আরো বলেন, সরকার দুর্নীতিবাজদের যেভাবে সায়েস্তা করছে ঠিক সেভাবে এই ধর্মঘটবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর হওয়ার দাবী জানাচ্ছি।
বেনাপোল বন্দর ট্রাফিক উপপরিচালক আব্দুল জলিল জানান, শ্রমিক ধর্মঘটের রেস কাটতে না কাটতে আবার তেলপাম্প ব্যবসায়ীদের ধর্মঘট। এভাবে চললে এপথে বাণিজ্য মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যার প্রভাব পড়বে রাজস্ব আয়ের উপর।
শাহাজালাল ফিলিং ষ্টেশনের ম্যানেজার মোস্তফা আহমেদ জানান, ১৫ দফা দাবিতে সংগঠনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তেল বিক্রি বন্ধ রাখা হয়েছে। পরবর্তী সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত পেট্রোল পাম্প বন্ধ থাকবে।
আপনার মন্তব্য