বেনাপোল প্রতিনিধি

২৮ এপ্রিল, ২০২০ ০১:০৯

লকডাউনের প্রভাব নেই বেনাপোলে

বেনাপোলে লকডাউনের প্রথম দিনে তেমনভাবে কার্যকর হয়নি। বেনাপোল বাজারসহ আশপাশের এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে লোকজন। বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশ বেনাপোল বাজার এলাকায় কয়েকবার চক্কর মারলেও, তা যেন জনসাধারণের মাঝে কোন দাগই কাটতে পারেনি। যে যার মতো করে জনসমাগম ঘটিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে।

বাজারের অনেকেই বলছেন, তারা সরকার ঘোষিত ‘সাধারণ ছুটির সঙ্গে ‘লকডাউন’ এর পার্থক্য খুঁজে পাননি। তাদের মতামত লকডাউন তেমন কার্যকর হয়নি।

সরেজমিনে সকালে বেনাপোল বাজারে ঘুরে দেখা যায়, ঈদের আমেজ ঘটিয়ে লোকজন বাজারে কেনাকাটা করছে ও ঘুরে বেড়াচ্ছে। এদের সবাই যে জরুরি কাজে বেরিয়েছেন, তেমনটি নয়। এসময় কয়েকজনের কাছে বাইরে বের হওয়ার কারণ জানতে চাইলে তারা এড়িয়ে যান। কাঁচাবাজারগুলোতেও যত মানুষ দেখা যায়, তাকে কোনোভাবেই কম বলা যাবে না। লকডাউন ঘোষণার কারণে বাজারে মানুষের আনাগোনা তেমন কমেছে বলে দৃশ্যমান হয়নি।

বিজ্ঞাপন

লকডাউনের প্রভাব পড়েনি কারও মাঝে। নেই সামাজিক দূরত্ব। একে অপরের গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে কেনাকাটা করছে অনেকেই। ক

তবে অন্যদিনের তুলনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদেরও সোমবার একটু বেশি তৎপর দেখা গেছে। অপরদিকে, বাজারব্যাপী উপজেলা প্রশাসন ও বাজার কমিটির পক্ষ থেকে গণসচেতনতা মাইকিং করতে দেখা গেছে।

বেনাপোল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব বজলুর রহমান বলেন, ইতিমধ্যে সমগ্র যশোরব্যাপী করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায়, রোববার ২৬ এপ্রিল যশোর জেলা প্রশাসকের পক্ষে সার্কিট হাউজে করোনা বিষয়ক এক জরুরি সভায় যশোর জেলাকে সোমবার সকাল ৬টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য লকডাউন ঘোষণা করা হয়। সেই মর্মে বেনাপোল বাজার কমিটিকে পরিপত্র জারি করলে, বাজার কমিটি একটা সিদ্ধান্ত নেয়। এবং সেই সিদ্ধান্ত মোতাবেক বেনাপোল পৌরসভাসহ আশেপাশের গ্রামে মাইকিং করা হচ্ছে। বিশেষ জরুরি কাজ ছাড়া ঘর থেকে কেউ বের হবে না এবং অন্য জেলা থেকে বা আশেপাশের এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামেও যাতে প্রবেশ না করে তার জন্য প্রচারণা চালানো হচ্ছে। তবে জরুরি পরিসেবার মধ্যে চিকিৎসা সেবা, খাদ্য সরবরাহ, বিদ্যুৎ ও গ্যাস ব্যবস্থা চালু থাকবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত