৩০ এপ্রিল, ২০২০ ১৯:৫৯
করোনার প্রভাবে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য এক মাস ৮ দিন বন্ধ থাকার পর বিশেষ নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরে পুনরায় চালু হলো আমদানি বাণিজ্য।
বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) বেলা সাড়ে তিনটায় বেনাপোল-পেট্রাপোলের লিংক রোডের নোম্যান্সল্যান্ডে প্রথম পচনশীল পণ্যবাহী ভারতীয় ট্রাক থেকে বাংলাদেশি ট্রাকে পণ্য লোড করা হয়। লোডকৃত পণ্য চালানের মধ্যে ছিল ভুট্টা, পাট ও মেসতাবীজ।
এ পণ্য চালানগুলোর বাংলাদেশের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান উৎস এন্টারপ্রাইজ। এবং ভারতের রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান বন্ধন এগ্রো। সিএন্ডএফ এজেন্ড ডিএসইম পেসকো ও সোঁনারগাও নামে দুটি প্রতিষ্ঠান।
আমদানিকারক উৎস এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী উজ্জ্বল রায় বলেন, প্রায় এক মাস ৮ দিন আমদানি রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ থাকার পর আমদানি বাণিজ্য চালু হলো। সময় মত আমাদের এ পচনশীল মাল যদি গন্তব্যে পৌঁছাতে না পারি তাহলে লোকসান গুনতে হবে।
বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান জানান, বেনাপোল কাস্টমস, বন্দর ও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলো ভারতের ব্যবসায়ী নেতা, কাস্টমস ও বন্দরের সাথে বসে বিশেষ ব্যবস্থায় দুটি পণ্যবাহী ট্রাক আনা হয়েছে। তবে ভারতীয় কোন পণ্যবাহী ট্রাক বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করছে না। ভারতীয় ট্রাক থেকে বাংলাদেশি ট্রাক বেনাপোল-পেট্রাপোল নোম্যান্সল্যান্ড থেকে লোড করে নিয়ে আসছে।
বেনাপোল কাস্টমস এআরও শামিম হাসান বলেন, আজ আবার আমদানি বাণিজ্য শুরু হয়েছে। পচনশীল পণ্য ভুট্টা, পাট ও মেসতা বীজ জাতীয় পণ্য এসেছে। এগুলো বন্দরে নিয়ে আজই পরীক্ষণ শেষে শুল্কায়ন করা হবে। এবং শুল্কায়নের পর পণ্য গন্তব্য নিয়ে যাবে স্ব-স্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক মামুন কবির তালুকদার বলেন, আমরা বিশেষ নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে কিছু আমদানি পণ্য নিয়ে আসতে পেরেছি। এরপর আস্তে আস্তে আরও পণ্য বৃদ্ধি পাবে। ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় প্রায় দুই হাজারের উপর পণ্যবাহী গাড়ি আটকে আছে আমরা সেগুলো পর্যায়ক্রমে নিয়ে আসব। যারা এখানে কাজ করছে তাদের মাস্ক ও পিপিইর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখানে স্বাস্থ্য কর্মীরা রয়েছে ।
প্রসঙ্গত, গত ২২ মার্চ থেকে করোনাভাইরাসের কারণে বেনাপোল পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যায়। আজ বেলা সাড়ে তিনটার সময় বিশেষ নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে প্রথম কয়েকটি পণ্য চালান এলো ভারত থেকে বাংলাদেশে। তবে ভারতীয় কোন ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশ করেনি। লোড আনলোড হয়েছে বেনাপোল নোম্যান্সল্যান্ডে। এসময় বেনাপোল কাস্টমস, বন্দর, বিজিবি, পুলিশ সহ সরকারী বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার লোক উপস্থিত ছিলেন। অপরদিকে পণ্য চালান লোড-আনলোডের সময় ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গতকাল বুধবার আমদানি বাণিজ্য নিয়ে বেনাপোল নোম্যান্সল্যান্ডে দুই দেশের বৈঠকের পর আজ প্রথম কয়েকটি চালান দেশে প্রবেশ করেছে।
আপনার মন্তব্য