শোয়েব উদ্দিন, জৈন্তাপুর

০৮ জুন, ২০২০ ২১:৫১

জৈন্তাপুরে ৪৯ জন করোনা আক্রান্ত, মৃত্যু ১

জৈন্তাপুর উপজেলায় উপসর্গ ছাড়াই করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিনদিন বেড়েই চলছে। এতে ঝুঁকিও বেশি। উপসর্গ বিহীন রোগীর মাধ্যমে সংক্রমিত হচ্ছে পরিবার, প্রতিবেশী সাধারণ মানুষ। এ কারণে এ উপজেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে করোনার সংক্রমণ রোধে বিকেল ৫টার মধ্যে উপজেলার সব হাট-বাজার বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আমিনুল হক সরদার বলেন, উপজেলায় ৮ জুন এ পর্যন্ত প্রায় ৩শত জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এরমধ্যে ২৬০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৪৯ জনের করোনা ভাইরাস সনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে সিলেট নগরীর শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে ৩ জন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩ জন, নর্থ ইষ্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এছাড়া হোম কোয়ারেন্টাইনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছে ৩৯ জন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন দু'জন। করোনায় মৃত্যুবরণ করছে একজন।

তিনি বলেন, করোনায় আক্রান্তের হার দ্রুত বাড়ছে। জৈন্তাপুর সদর নিজপাট ও দরবস্ত ইউনিয়ন করোনার সংক্রমণ বেশি। নিজপাট সদর ইউনিয়ন হওয়ায় এখানে বিভিন্ন জেলা, উপজেলা থেকে লোকজন আসছে। এখানে রয়েছে জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদ, উপজেলা প্রশাসন, জৈন্তাপুর মডেল থানা, উপজেলা হাসপাতালসহ বেশ কিছু ব্যাংক ও বীমা প্রতিষ্ঠান। এখানে প্রতিনিয়তই লোক সমাগম ঘটে, আর সে কারণেই করোনার সংক্রমণ হচ্ছে। কিছুতেই লোক সমাগম সামাল দেওয়া যাচ্ছে না। উপসর্গ নেই, অথচ করোনায় আক্রান্ত এসব রোগী সবচেয়ে বেশি বিপদজনক। কারণ সে পরিবার, প্রতিবেশসহ যেখানে যাচ্ছে সেখানেই মানুষকে সংক্রমিত করছে। পজিটিভ কি না, জানে না। জানার আগেই অনেককে সংক্রমিত করে ফেলছে।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, আমরা প্রতিদিন নমুনা সংগ্রহ করে দিচ্ছি তাই হয়তো আমাদের পজিটিভ বেশি। আমাদের হাসপাতালের ৪ কর্মচারী করোনায় আক্রান্ত, আমরাও বিপদে আছি। এখন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ছাড়া কোনো উপায় নেই। সবারই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে, নইলে ভবিষ্যতে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হবে।

জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শ্যামল বণিক বলেন, করোনার সংক্রমণরোধে পুলিশ কাজ করছে। উপজেলার সব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বারদের সঙ্গে এ নিয়ে কথা হয়েছে। বিকেল ৫টার মধ্যে সব হাট-বাজার বন্ধ করতে নির্দেশনা দিয়েছি। মানুষ সচেতন না হলে, সরকারি স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চললে পরিস্থিতি আরও মারাতœক হতে পারে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত