শাবুল আহমেদ, প্যারিস

১১ আগস্ট, ২০২৩ ১৭:২২

প্যারিসে ‘উন্নত বিশ্বে ভাষা ও সংস্কৃতির আদান-প্রদানে আমাদের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা

শিল্প-সাহিত্য, সংস্কৃতির তীর্থভূমি ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে অনুষ্ঠিত হয়েছে 'উন্নত বিশ্বে ভাষা ও সংস্কৃতির আদান-প্রদানে আমাদের ভূমিকা' শীর্ষক আলোচনা সভা।

বুধবার (৯ আগস্ট) বিকালে ইউরো-বাংলা প্রেসক্লাব ফ্ৰান্সের উদ্যোগে প্যারিসের ক্যাথসীমাস্থ শাহজালাল রেস্টুরেন্টে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি ও এটিএন বাংলা ইউকের ফ্রান্স প্রতিনিধি তাজ উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন লিডিং ইউনিভার্সিটি- সিলেটের সহযোগী অধ্যাপক আইনজীবী রাশেদুল ইসলাম। প্রধান আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন ফ্রান্সের সভাপতি চৌধুরী সালেহ আহমদ।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ফ্রান্স-বাংলাদেশ বিজনেস ফোরামের সাধারণ সম্পাদক শুভ্রত ভট্টাচার্য শুভ, একুশে উদযাপন পরিষদ ফ্রান্সের সদস্য সচিব এমদাদুল হক স্বপন, লিগ্যাল এইডের প্রেসিডেন্ট এ এম আজাদ, ফ্রান্স-বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের সহ-সভাপতি মাহবুবুল হক কয়েস ও হুমায়ুন কবির তারেক।

ক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মইনুল হকের সঞ্চালনায় সভায় উদ্বোধক ছিলেন ইউরো-বাংলা প্রেসক্লাবের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও আরটিভি ফ্রান্স প্রতিনিধি তাইজুল ফয়েজ।

সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ক্লাবের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আইটি বিশেষজ্ঞ জাবের আহমদ, নির্বাহী সম্পাদক পরিবেশবাদী সাংবাদিক শেখ এমরান, মাই টিভি ফ্রান্স প্রতিনিধি বাদল পাল, গাজী টিভি ফ্রান্স প্রতিনিধি মিজানুর রহমান, দৈনিক বাংলাদেশের আলো পত্রিকার ফ্রান্স প্রতিনিধি কবি সুহেল আহমদ, সিলেট সদর উপজেলা অ্যাসোসিয়েশন ফ্রান্সের সিনিয়র সহসভাপতি বেলাল আহমদ, সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমদ, যুবনেতা শাহেদ আহমদ, জাহাঙ্গীর আলম ও দিলওয়ার খান প্রমুখ।

প্রধান অতিথি রাশেদুল ইসলাম বলেন, মূলত মানুষ যা ধারণ করে এক কথায় তাই সংস্কৃতি। জন্মগতভাবে কোনো মানুষ ভাষা ও সংস্কৃতি নিয়ে জন্মগ্রহণ করে না। সামাজিক ও পারিবারিকভাবে ভাষা ও সংস্কৃতি শিখে থাকে; যা সময়ের ধারাবাহিকতায় উন্নতির বিকাশ ঘটে। আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে এ ধারাটিও কালের আবর্তে হারিয়ে যায়। ভাষা ও সংস্কৃতির প্রসার তথা বিকাশনে তা ধারণ-লালন এবং চর্চার একান্ত প্রয়োজন।

তিনি বলেন, ভাষা ও সংস্কৃতি বিশ্ব দরবারে তুলে ধরার জন্য আমাদেরকে বিভিন্ন দেশের মানুষের সঙ্গে আন্তরিকভাবে মিশতে হবে, ভাষা বিনিময় করতে হবে।

এজন্য রাষ্ট্র ও সরকারের পাশাপাশি প্রবাসী বাংলাদেশিদেরকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। বিশেষ করে বাংলাদেশি কৃষ্টি-কালচার ও খাবারের সাথে বিদেশিদের পরিচয় করিয়ে দেওয়া এবং তাদের কাছে আমাদের দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য তুলে ধরতে হবে।

সভায় শোকাবহ ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ পরিবারের নিহত সদস্য ও একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল শহিদ এবং ৫২'র ভাষা আন্দোলনে শহিদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত