সিলেটটুডে ডেস্ক

০২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ২২:৫৭

অধিকার আদায়ের সংগ্রামে বিএনপি পিছপা হবে না: তাহসিনা রুশদির

বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা তাহসিনা রুশদির লুনা বলেছেন, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের পরবর্তী সময়ে আওয়ামীলীগ যখন বাকশাল কায়েম করে দেশের গণতন্ত্র ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার হরণ করে মুক্তিযুদ্ধাদের স্বপ্নকে গলাটিপে হত্যা করেছিল তখন সেই প্রেক্ষাপটে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আওয়ামী লীগ ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতা দখল করে রেখেছে। জনগনের সাথে আওয়ামিলীগের কোন সম্পর্ক নেই, তাই তারা নিরপেক্ষ সরকারের অধিনে নির্বাচন দিতে চায় না। আওয়ামী লীগকে আর সময় দেয়া যাবে না। বিএনপি দেশের সাধারণ মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য রাজপথে আছে, এবং থাকবে। অধিকার আদায়ের সংগ্রামে বিএনপি পিছপা হবেনা। দেশবাসীকে সাথে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারকে বিতাড়িত করা হবে ইনশাআল্লাহ।

শনিবার দুপুরে বিএনপির ৪৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নগরীর রেজিস্ট্রারী মাঠে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি আয়োজিত বর্ণাঢ্য র‌্যালি পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরীর সভাপতিত্বে, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী ও মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরীর যৌথ সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ড. এনামুল হক চৌধুরী, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।

বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির বলেন, বিএনপির নাম এবং ইতিহাস বাংলাদেশের অস্তিত্বের সাথে জড়িয়ে আছে। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের পর যে স্বপ্ন নিয়ে দেশ স্বাধীন হয়েছিল আওয়ামীলীগ সেই প্রত্যাশা বিনষ্ট করেছিল। তারা দুঃশাসনের মাধ্যমে মানুষকে অতিষ্ঠ করে তুলে ছিল। তারা দেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করে দেশে বাকশাল কায়েম করেছিল। তারা দেশকে অস্থিত্ব সংকটে ফেলেছিল। তখন দিশেহারা জাতিকে মুক্তির দিশা দিতে ১৯৭৮ সালে এক কঠিন বাস্তাতায় শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। শহীদ জিয়া দেশ পরিচালনার টই অল্প সময়ে দেশকে সয়ং সম্পূর্ণতার দিকে নিয়ে গিয়েছিলেন। বিএনপি যতবার দেশের হাল ধরছে ততবার মানুষের আশা আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটেছে। আওয়ামীলীগের কোন কথা দেশের মানুষ আর বিশ্বাস করে না। তারা ঘুম থেকে উঠে ঘুমানো পর্যন্ত মিথ্যাচার করে। দেশবাসীকে সাথে নিয়ে এই ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন নিশ্চিত করে জনগনের ভোটে নির্বাচিত সরকারের হাতেই দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দেয়া হবে।

সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষনা দিয়েছিলেন। আর তার প্রতিষ্ঠিত দল বিএনপির নেতৃত্বেই দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে ইনশাআল্লাহ।

সিলেট জেলা ওলামা দলের আহবায়ক মাওঃ নুরুল হকের কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে সূচিত সভায় বক্তব্য রাখেন- বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিষয়ক সহ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী, আবুল কাহের চৌধুরী শামীম, সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন, এডভোকেট হাদিয়া চৌধুরী মুন্নী।

সভাপতির বক্তব্যে সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, শহীদ জিয়ার ডাকে সাড়া দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানরা যে স্বপ্ন নিয়ে আত্মত্যাগ করেছিলেন, বাকশাল কায়েম করে সেই স্বপ্নকে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে আবারো শহীদ জিয়ার নেতৃত্বে দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয়। বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা পায়। কিন্তু আওয়ামিলীগ সব বিনষ্ট করেছে। তারেক রহমানের রাজপথের ফায়সালায় জনগণ জেগেছে। এবারও বিএনপির নেতৃত্বে দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে ইনশাআল্লাহ।

এসময় সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি এবং অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- এড. আশিক উদ্দিন আশুক, মামুনুর রশিদ মামুন (চাকসু), হাজী শাহাব উদ্দিন আহমদ, মিফতা সিদ্দিকী, রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, ফখরুল ইসলাম ফারুক, একেএম তারেক কালাম, ইকবাল বাহার চৌধুরী, শহিদ আহমদ(চেয়ারম্যান), মাহবুবুর রব চৌধুরী ফয়সল, নজমুল হোসেন পুতুল, শাহাব উদ্দিন আহমদ, গোলাম রব্বানী, হাজী আব্দুন নুর (চেয়ারম্যান), সামিয়া বেগম চৌধুরী, লিলু মিয়া (সাবেক চেয়ারম্যান), জিয়াউল গনি আরিফিন জিল্লুর, সৈয়দ মিসবাহ উদ্দিন, নজিবুর রহমান নজিব , সৈয়দ মঈনুদ্দিন সোহেল, জিয়াউল হক জিয়া, আমির হোসেন, বাবু নিহার রন্জন দাস, আব্দুর রশিদ চেয়ারম্যান, মামুনুর রশীদ, কামরুল হাসান সাহীন, সুরমান আলী, ইশতিয়াক আহমদ সিদ্দিকী, সিদ্দিকুর রহমান পাপলু, তাজরুল ইসলাম তাজুল, মামুনুর রশিদ মামুন, আনোয়ার হোসেন মানিক, এড. আবু তাহের, ওয়াহিদুজ্জামান চৌধুরী সুফি, এড. মোমিনুল ইসলাম মোমিন, আব্দুল আহাদ খান জামাল, মকসুদ আহমদ, মাহবুবুল হক চৌধুরী, আবুল কাশেম, রফিকুল ইসলাম শাহপরান, সৈয়দ সাফেক মাহবুব, নেওয়াজ বক্ত তারেক, এড. সাঈদ আহমদ, মুর্শেদ আহমদ মুকুল, হুমায়ুন আহমেদ মাসুক, দিনার খান হাসু, শাকিল মোর্শেদ, এড. মুজিবুর রহমান, জসিম উদ্দিন, শামীম আহমদ, শফিকুর রহমান, মুশিকুর রহমান মুহি, এড. আল আসলাম মুমিন, আক্তার রশীদ চৌধুরী, শামীম মজুমদার, মতিউল বারী খূর্শেদ, আফজাল উদ্দিন, আবুল কালাম, রেজাউল করিম আলো, গৌছ আলী, রেজাউল করিম নাচন, জাকির হোসেন মজুমদার, লল্লিক চৌধুরী, মুফতি নেহাল, হাজী ডাঃ মোঃ আশরাফ আলী, লোকমান আহমদ, তাসনিম শারমিন তামান্না, আব্দুল হাফিজ, এম. মুজিবুর রহমান, এড. মোস্তাক আহমদ, আল মামুন খান, এনামুল কুদ্দুস চৌধুরী, আব্দুল ওয়াহিদ সুহেল, জয়নাল আহমদ রানু, আলী আকবর, আলাউদ্দিন রিপন, আজিজুর রহমান, সাহেদুল হক সুহেল, নজরুল ইসলাম, জালাল খান, আব্দুল মালেক, সাদিকুর রহমান সাদিক, মুফতি রায়হান উদ্দিন মুন্না, মাহবুব আলম, বাদশা আহমদ, অর্জুন ঘোষ, মনিরুল ইসলাম তুরন, আহাদ চৌধুরী শামীম, নিগার সুলতানা ডেইজি, তাজ উদ্দিন মাসুম, বদরুদ্দোজা বদর, মির্জা বেলায়েত হাসান লিটন, আব্দুল হাকিম, আব্দুর রহিম মল্লিক, মোঃ লুৎফুর রহমান মোহন, মন্জুরুল হাসান মন্জু, সুয়াইব আহমদ শোয়েব, আব্দুল ওয়াদুদ মিলন, মোঃ তারেক খান, মোঃ বাচ্চু মিয়া, খায়রুল ইসলাম খায়ের, সবুর আহমদ, মোঃ মিজান আহমদ ,রাজন মিয়া, আমিনুল ইসলাম, ফখর উদ্দিন পংকি, আব্দুল মুনিম, সেলিম আহমদ সেলু, তফাজ্জল হোসেন বেলাল, আখতার হোসেন, আব্দুস সামাদ তুয়েল, মিফতাউল করিম মিফতা, আজিজুল হোসেন আজিজ, দেওয়ান জাকির, মির্জা মোঃ সম্রাট হোসেন, আফসর খান, সুদীপ জ্যুতি এষ, নাজিম উদ্দিন পান্না, দেলোয়ার হোসেন দিনার, আব্দুল আহাদ, শাহীন আলম জয়, ডাঃ নাজিম উদ্দিন, আসাদ উদ্দিন, এড. ওবায়দুর রহমান ফাহমী, কুমকুম ফাহিমা, সুলতানা রহমান দিনা, আলা উদ্দিন আলাই, রুহেল আহমদ, শামসুর রহমান সুজা, বখতিয়ার আহমদ ইমরান, আহমদ সোলায়মান, ইসমাইল হোসেন সেলিম, আকবর হোসেন, সুমেল আহমদ চৌধুরী, রায়হান এইচ খাঁন, আক্তার হোসেন রাজু, মিনহাজ উদ্দিন চৌধুরী, জাহেদ আহমদ, মিজানুর রহমান রুমেল, সারোয়ার হোসেন, জসিম উদ্দিন (১), হাসান মঈন উদ্দিন আহমদ, ইসলাম উদ্দিন, বাহরুল ইসলাম বাহার, জসিম উদ্দিন (২), তোফায়েল আহমদ সুহেল, মফিজুর রহমান জুবেদ, কবির আহমদ, সৈয়দ এনায়েত হোসেন, জিয়াউল হক জিয়া, আফতাব উদ্দিন, আশরাফুল আলম বাহার, সুহেল ইবনে রাজা, রুহুল আমিন, সাব্বির আহমদ, রফিকুল ইসলাম রফিক, মামুন ইবনে রাজ্জাক রাসেল, সৈয়দ লোকমানুজ্জামান, রুবেল বক্স, সৈয়দ রহিম আলী রাসু, মিনহাজ পাঠান, আব্দুস সবুর রাসেল, আলমগীর হোসেন, আব্দুল মালিক সেকু, এ এস এম সায়েম, সুলতান আহমদ, নুরুল হুদা দিপু, আবু আহমদ আনসারী, দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী, সৈয়দ সারওয়ার রেজা, মাসুম রাজ্জাক রুমেল, হাবিবুর রহমান রুমেল, মিজানুর রহমান নেছার, উমেদুর রহমান উমেদ, লিটন আহমদ, আব্দুল হাসিম জাকারিয়া, এমদাদুল হক স্বপন, কয়েস আহমদ, রুনু আহমদ, সৈয়দ আমির আলী, আজিজ খান সচিব, আবুল কালাম সাহেদ, তোফায়েল আহমেদ, রাসেল আহমদ রানা, জাহাঙ্গীর আলম জীবন, আকবর আলী প্রমুখ।

সমাবেশ শেষে নগরীর রেজিস্ট্রারী মাঠ থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে সমাপ্ত হয়। র‌্যালিতে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা রং বেরঙের ব্যানার, ফেস্টুন সহকারে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান, বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ছবি নিয়ে অংশ গ্রহণ করেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত