সিলেটটুডে ডেস্ক

০৪ আগস্ট, ২০১৭ ০০:৩৭

স্বামী-স্ত্রী-সন্তান ছাড়া গ্রিন কার্ড বন্ধ হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে!

স্বামী-স্ত্রী-সন্তান ছাড়া গ্রিন কার্ড দেওয়ার সুযোগ বন্ধ করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এসংক্রান্ত একটি বিল উঠেছে সিনেটে। একই সঙ্গে শরণার্থীর সংখ্যা কমানো ও ডিভি (ডাইভারসিটি ভিসা) লটারি বন্ধের প্রস্তাব করা হয়েছে বিলটিতে।

আরকানসর সিনেটর টম কটন ও জর্জিয়ার সিনেটর ডেভিড পারডুর তোলা ‘রিফর্মিং আমেরিকান ইমিগ্রেশন ফর অ্যা স্ট্রং ইকোনমি (রেইজ) অ্যাক্ট’ শীর্ষক এই বিল আইনে পরিণত হলে পারিবারিক কোটায় যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক অথবা গ্রিনকার্ডধারীরা কেবলমাত্র তাদের স্বামী-স্ত্রী ও ২১ বছরের কম বয়সী সন্তানেরা যুক্তরাষ্ট্রে আনতে পারবেন। এবিল পাস হলে বোন, ভাগ্নে-ভাগ্নি, দুলাভাই, দাদা-দাদী-নানা-নানীকে আনার বর্তমান সুযোগ বন্ধ হয়ে যাবে।

যুক্তরাষ্ট্রের অর্ধশত বছরের বেশি পুরনো ‘ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ন্যাশনালিটি অ্যাক্ট’ সংশোধন করে কানাডা ও অস্ট্রেলিয়ার আদলে তৈরি বিলটি আইনে পরিণত হলে ১০ বছরে অভিবাসী ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে আগমনের ৫০ শতাংশ কমে যাবে। নতুন আইনে কেবলমাত্র ইংরেজিভাষী, দক্ষ ও আর্থিকভাবে সক্ষম বিদেশিরা বৈধ ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে আসার সুযোগ পাবেন।

বিলটি আইনে পরিণত হলে স্থায়ীভাবে বসবাসের ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা, ইংরেজিতে দক্ষতা, উচ্চ বেতনে চাকরির অভিজ্ঞতা, তুলনামূলকভাবে কম বয়স ও পেশাগতভাবে বিশেষ যোগ্যতাসম্পন্নরা অগ্রাধিকার পাবেন। সেইসঙ্গে বছরে ৫০ হাজারের বেশি শরণার্থীকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।

বিলের উত্থাপন করে সিনেটর কটন বলেন, আমেরিকার অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির প্রশ্নে যে ধরনের অভিবাসন নীতির প্রয়োজন, তা বহুদিন থেকে নেই। এর ফলে কঠোর পরিশ্রমী আমেরিকানরা ন্যায্য পারিশ্রমিক থেকে চরমভাবে বঞ্চিত হচ্ছেন। এখন সময় এসেছে সব কিছুকে জনগণের কল্যাণে ঢেলে সাজানোর।

তিনি বলেন, আমরা একটি অভিবাসন ব্যবস্থা চালু করতে চাই, যেখানে শ্রমিকেরা ন্যায্য পারিশ্রমকি পাবেন, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে এবং প্রতিটি আমেরিকানই অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনে সক্ষম হবে।

এই বিল পাশ হলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বাংলাদেশিরা। প্রায় একযুগ ধরে পারিবারিক কোটায় গ্রিন কার্ড নিয়ে বছরে কমপক্ষে ২৫ হাজার বাংলাদেশি যুক্তরাষ্ট্রে আসছে।

 

আপনার মন্তব্য

আলোচিত