সিলেটটুডে ডেস্ক

১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ১২:৪১

নিউ ইয়র্কে এমসি কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের বনভোজন

নিউ ইয়র্কে আনন্দঘন ও উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে সিলেট এমসি কলেজের প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীদের ব্যতিক্রমী বনভোজন।

৮ সেপ্টেম্বর রোববার দিনভর ব্রঙ্কসের ২০০ টিফফানী স্ট্রিটের বেরেট্রো পয়েন্ট পার্কের খোলা মাঠে অনুষ্ঠিত হয় এ বনভোজন।

নিউ ইয়র্কসহ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্থানে বসবাসরত সিলেট এমসি কলেজের দেড় শতাধিক প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা যোগ দেন এ বনভোজনে।
এ দিন সকাল থেকেই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমন্ডিত অনিন্দ্য সুন্দর পরিবেশের এই বনভোজনস্থলে সমবেত হন তারা। মেতে ওঠেন বর্ণিল সব আয়োজনে। এক আনন্দঘন আড্ডামুখর পরিবেশ তৈরি হয় পুরো পার্কজুড়ে।

এ সময় তারা কলেজ জীবনের নানা স্মৃতিচারণসহ জমপেশ আড্ডায় মেতে ওঠেন। ঘুরে ঘুরে উপভোগ করেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।

ফ্লাওয়ার অব দ্য ইস্ট খ্যাত সিলেট এমসি কলেজের প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীদের এ বনভোজন আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয় রং-বেরংয়ের বেলুন উড়িয়ে। তার পর শুরু হয় বনভোজনের বিভিন্ন কার্যক্রম।

ইভেন্ট কমিটির আহবায়ক তোফায়েল চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং প্রধান সমন্বয়কারী মুহাম্মদ আব্দুর রহিম বাদশাহ, সদস্য সচিব হাবিব ফয়েজি, মুহাম্মদ আলী ও সদস্য মাসুম আহমদের পরিচালনায় কলেজের প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে বনভোজনে অন্যান্যদের মধ্যে অংশ নেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী মোহাম্মদ কালাম, আব্দুল কাইউম, ওসমান গনি কায়কোবাদ, মোহাম্মদ আফতাব আলী, মজির চৌধুরী, মোহাম্মদ সুলতান কবির, মজনুর রহমান, ফয়জুর রহমান ফটিক, মোহাম্মদ হোসাইন, এনাম উদ্দীন, আজিজ আহমদ চৌধুরী, ইফতেখার সিরাজ, শাহিন আজমল, এস এম গোলাম রব্বানী চৌধুরী, ইব্রাহিম চৌধুরী খোকন, জাহাঙ্গীর করিম, মুহাম্মদ কবির, আমিনুল হক চুন্নু, মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম, মুহাম্মদ এন আহিয়া, জাহাঙ্গীর আলম, এ এস এম নাজমুল হুদা, মুহাম্মদ মুহিত জনি, ইয়াহিয়া বি চৌধুরী, আব্দুল আহাদ, মুরাকিব শামিম, কাজী অদুদ আহমেদ, মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী, এম এ করিম জাহাঙ্গীর, সাখাওয়াত আলী, মঈনুল হক হেলাল, ফরহাদ কবির, আবদুল আহাদ, জসিম উদ্দিন নিপু, আনিসুর রহমান, ডা. আনোয়ারুজ্জামান, ফখরুল ইসলাম, আনোয়ার আহমেদ, ইমরান আলী টিপু, মাহবুব আহমদ, এম এ মুহিত, সাইফুর রহমান, আনিসুর রহমান, ফখরুল ইসলাম, জালাল চৌধুরী, রুহেল চৌধুরী, লতিফ এ চৌধুরী, মুহাম্মদ সেবুল খান মাহবুব, আব্দুর রউফ, আব্দুল মনাফ, মুহাম্মদ নাসির উদ্দীন, সারওয়ার চৌধুরী, ইফজাল আহমদ, মুহাম্মদ বজলুর রশিদ চৌধুরী শিপন, মুহাম্মদ আবু সাঈদ, খালিদ ইসলাম, তানভির আহমদ, মুহাম্মদ উদ্দিন, আব্দুল হাকিম, সুব্রত তালুকদার, মুহাম্মদ মেহেদি হাসান, ফারহানা নীপা, খাদিজা ইসলাম, ইমরান উদ্দিন, সাহিদুল হাসান তানিম প্রমুখ।

কলেজের প্রাক্তন শিক্ষকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক এএসএম একে সাব্রী সাবেরীন ও অধ্যাপক বোরহান উদ্দিন আহমেদ।

এছাড়াও ছিলেন ইউরোপিয়ান বাংলাদেশি ফেডরেশন অব চেম্বারস অ্যান্ড ইন্ডাস্টির প্রেসিডেন্ট ড. ওয়ালী তাসের উদ্দিন, অ্যাটর্নি ব্রুস ফিশার, কমিউনিটি এক্টিভিস্ট মোহাম্মদ এন মজুমদার, বদরুন নাহার খান মিতা, সিরাজ উদ্দিন সোহাগ, আলমাস আলী, সাইদুর রহমান লিংকন, সিপিএ আহাদ আলী, আবদুল গাফফার চৌধুরী খসরু, হারুন আলী, ডা. শাহানারা আলী, জাহানারা বেগম লক্ষী, মনোয়ারা বেগম মনি, ফেরদৌসী বেগম বিউটি, অলিউর রহমান, ফরিদ আলম পাঠান, বোরহান উদ্দিন, মঞ্জুর চৌধুরী জগলুল, এ ইসলাম মামুন, মামুন রহমান, রেক্সোনা মজুমদার, মাকসুদা আহমেদ, কাজী জাকির, কামাল আহমেদ, আবুল খায়ের আখন্দ প্রমুখ।

বনভোজনে আকর্ষণীয় র‌্যাফেল ড্র ছাড়াও ছিল বিভিন্ন খেলাধুলা। এর মধ্যে লাল-সবুজের তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ফুটবল খেলায় লাল দল ১-০ গোলে জয় লাভ করে। সবশেষে ছিল র‌্যাফেল ড্র। এতে পুরষ্কার হিসাবে ছিল মূল্যবান সামগ্রী। শেষে খেলাধুলায় অংশগ্রহণকারী এবং র‌্যাফেল ড্র বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

র‌্যাফেল ড্র তে ছিল ৫৫ ইঞ্চি টেলিভিশন (আল আকসা), ৪৩ ইঞ্চি টেলিভিশন (মোহাম্মদ শমসের আলী), আইপ্যাড (আয়োজক) সহ বেশ কটি আকর্ষণীয় পুরস্কার।

সিপিএ আহাদ আলীর সৌজন্যে ফুটবল খেলোয়ারদের জার্সি প্রদান করা হয়। স্টারলিং ফার্মেসির সৌজন্যে সবাইকে এমসি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের মনোগ্রাম খচিত কাপ উপহার হিসেবে প্রদান করা হয়।

বনভোজনে অতিথি ও কর্মকর্তাদেরও বিশেষ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। বনভোজন উপলক্ষে একটি স্মরণিকা প্রকাশ করা হয়। ব্রঙ্কসের আল আকসা রেস্টুরেন্টের সুস্বাদু খাবারে আপ্যায়ন করা হয় অতিথিদের। অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে ছিল সাংস্কৃতিক পর্ব।

অতিথি ও সদস্যরা আনন্দঘন আয়োজনের জন্য উদযাপন কমিটিকে বিশেষ ধন্যবাদ জানান। বিভিন্ন বক্তারা তাদের বক্তব্যে সিলেট এমসি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ১২৭ বছরের গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকার কথা তুলে ধরেন।

তারা বলেন, ঐতিহ্যবাহী এ কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নানাভাবে অবদান রেখে চলেছেন।

বনভোজন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হওয়ায় ইভেন্ট কমিটির আহবায়ক তোফায়েল আহমদ চৌধুরী, প্রধান সমন্বয়কারী আবদুর রহিম বাদশা এবং সদস্য সচিব হাবিব ফয়েজি সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

তারা বনভোজনে সহযোগিতাকারীদের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত