১৬ জুলাই, ২০১৭ ১৩:৪৩
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগি অধ্যাপক ড. ফাহমিদুল হকের বিরুদ্ধে একই বিভাগের অধ্যাপক আবুল মনসুর আহম্মেদ কর্তৃক আইসিটি আইনের ৫৭ ধারায় মামলার প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন ও সমাবেশ হয়েছে। কর্মসূচিতে ৫৭ ধারাকে কালাকানুন, মানবতা, মানবাধিকার ও আইনের শাসনের পরিপন্থি উল্লেখ করে এ আইন অবিলম্বে বাতিলের দাবি জানানো হয়েছে।
রোববার (১৬ জুলাই) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ব্যানারে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের একটি গোপন গ্রুপে দেওয়া পোস্টকে কেন্দ্র করে গত বৃহস্পতিবার ফাহমিদুল হকের বিরুদ্ধে ৫৭ ধারায় মামলা করেন তারই সহকর্মী আবুল মনসুর আহম্মেদ।
বক্তারা বলেন, ৫৭ ধারার বিরুদ্ধে সারাদেশে যখন প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে সেই মুহূর্তে এই আইন প্রয়োগ করে আমাদের একজন সহকর্মী যখন অন্য এক সহকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন তখন লজ্জায় আমাদের মাথা হেট হয়ে যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ভূলুণ্ঠিত হয়। তাই আশা করবো অবিলম্বে এ মামলা প্রত্যাহার করে এ লজ্জা থেকে আমাদের মুক্তি দেবেন।
মোহাম্মদ তানজিম উদ্দিন খান বলেন, এই আইনটি মূলত দুটি উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হচ্ছে। বিরোধী মত দমনে এবং নিজ দলের রাজনৈতিক প্রতিযোগীকে শায়েস্তা করতে। স্বাধীন কণ্ঠরোধী এ আইন যখন আমাদেরই এক সহকর্মী অন্য সহকর্মীর বিরুদ্ধে
তারা আরও বলেন, ফাহমিদুল হক শুধু একজন শিক্ষকই নন, একজন লেখক, গবেষক, সমালোচক এবং সমাজকর্মী। তার কণ্ঠরোধ মানে সমাজের বৃহত্তর একটি চিন্তা ধারার কণ্ঠরোধ। তাই অবিলম্বে তার বিরুদ্ধে হওয়া মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।
এ মামলাকে ভুল বোঝাবুঝি থেকে সৃষ্ট বলেও মন্তব্য করেন বক্তারা। তার এ ভুল বোঝাবুঝির অবসানের দাবি জানান।
সমাবেশে বক্তব্য দেন সাবেক তথ্য কমিশনার ও সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সাদেকা হালিম, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক মোহাম্মদ তানজিম উদ্দিন খান, সমাজবিজ্ঞানের আরেক শিক্ষক সামিনা লুৎফাসহ গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিক এবং সাংবাদিকতা বিভাগের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরা।
আপনার মন্তব্য