সিলেটটুডে ডেস্ক

১৫ জুলাই, ২০১৭ ০২:৩৬

ঢাবি শিক্ষক ফাহমিদুল হকের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক ড. ফাহমিদুল হকের বিরুদ্ধে একই বিভাগের শিক্ষক আবুল মনসুর আহমদ কর্তৃক দায়ের করা তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারার মামলা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহার করার সময় বেধে দিয়েছে বাংলাদেশ লেখক ঐক্য। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মামলা প্রত্যাহার না করলে মামলা দায়েরকারী শিক্ষককে সামাজিকভাবে বয়কট করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

শুক্রবার (১৪ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে এ দাবি ও আহ্বান জানানো হয়।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘ফাহমিদুল হকের মতো ব্যক্তিত্বের বিরুদ্ধে যখন এমন একটি বিতর্কিত আইনে মামলা করা হয়, তখন এ ধারার অপপ্রয়োগের দিকটি সহজেই বোঝা যায়। ফাহমিদুল হকের প্রতিবাদী চরিত্রকে রোধ করার জন্যই এ মামলা করা হয়েছে।’

তারা বলেন, ‘দ্রুত এই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা তুলে নিতে হবে। না হলে এর বিরুদ্ধে লেখক-সমাজের উদ্যোগে কঠোর সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।’

বক্তারা তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা প্রয়োগের মাধ্যমে দেশের লেখক, সাংবাদিক ও নানা পেশার মানুষকে যেভাবে হেনস্তা করা হচ্ছে তার প্রতিবাদ করেন। তারা দ্রুত ৫৭ ধারার মতো কালাকানুন বাতিল করার দাবি জানান।

বক্তারা আরও বলেন, যে সহকর্মী আরেক সহকর্মীর বিরুদ্ধে এমন একটি ঘৃণ্য ধারায় মামলা করতে পারে, সেই মামলাবাজ ব্যক্তি নিজেকে কখনোই শিক্ষক পরিচয় দিতে পারে না। কেননা এর মাধ্যমে সে শিক্ষক পরিচয় দেয়ার যোগ্যতা হারিয়েছে। তাই দ্রুত এই মামলা তুলে নেয়ার জন্য আমরা তাকে তাকে আহ্বান করছি। অন্যথায় তার বিরুদ্ধে লেখক সমাজের উদ্যোগে কঠোর সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।

মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় ছিলেন সংগঠনের সভাপতি কথাসাহিত্যিক রাখাল রাহা, সহ-সভাপতি প্রাবন্ধিক আরশাদ সিদ্দিকী, সাধারণ সম্পাদক কবি শওকত হোসেন, কবি চঞ্চল আশরাফ, সমাজকর্মী জাকিয়া শিশির, সাদিয়া জেরিন পিয়া, আইনজীবী হাসনাত কাইয়ুম, ইফতেখার আহমেদ বাবু, হাসান ইকবালসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

প্রসঙ্গত, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মিথ্যা অপবাদের অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক আবুল মনসুর আহাম্মদ রাজধানীর শাহবাগ থানায় বুধবার এ মামলা করেন।

মামলার এজাহারে বাদী অধ্যাপক আবুল মনসুর আহম্মদ বলেন, ‘গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের এমএসএস ২০১৬ ৬ষ্ঠ ব্যাচের ফেসবুক গ্রুপে বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. ফাহমিদুল হক তার ফেসবুক আইডি থেকে আমাকে উদ্দেশ্য করে সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য প্রচার করেছে। উক্ত গ্রুপটিতে ৬৯ জন সদস্য রয়েছে। গ্রুপের সদস্যদের কাছে আমার মান সম্মানের হানি ঘটেছে। এছাড়া অফিসের কিছু গোপন তথ্য তার পোস্টের মাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে। যা সম্পূর্ণ বেআইনি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছে।’

আপনার মন্তব্য

আলোচিত