শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আমিনুল হক ভূইয়ার বিরুদ্ধে উকিল নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী খাদিজা আক্তার।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার ফজলুর রহমানের পক্ষে রোববার (২৩ জুলাই) তিনি এ উকিল নোটিশ পাঠান। নোটিশটি রবিবারই বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে পৌঁছায় বলে রেজিস্ট্রার দপ্তরের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছেন।

তিন দিনের মধ্যে তার দাবির সমাধান করতে আহবান করা হয়েছে। অন্যথায় তিনি হাইকোর্টে রিট আবেদন করবেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। নোটিশে উপাচার্যের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ইশফাকুল হোসেনকেও পাঠানো হয়েছে।

উকিল নোটিশ মতে, ফজলুর রহমান জাতীয় বেতন স্কেল ২০০৯  এর ৪র্থ গ্রেডে বেতনভুক্ত একজন কর্মকর্তা। তার গ্রেডের শেষ অবস্থানে পৌঁছার এক বছর পর বেতন স্কেলের নিয়ম অনুসারে টাইম স্কেলের জন্য আবেদন করেন। কিন্তু সকল ধরনের যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা পূরণ করা সত্ত্বেও তাকে টাইম স্কেল দেওয়া হয় নি।

জাতীয় বেতন স্কেল ২০০৯ অনুযায়ী, প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তাগণ নিজ বেতন স্কেলের সর্বোচ্চ সীমায় পৌছার এক বছর পর তাহার চাকরির সন্তোষজনক রেকর্ডের ভিত্তিতে এবং এতসংক্রান্ত প্রচলিত শর্তাদি পূরণ সাপেক্ষ তাহার পদের বেতনস্কেলের পরবর্তী উচ্চতর স্কেল (টাইম স্কেল) হিসেবে পাইবেন। তবে পদোন্নতি ব্যতিরেকে একই পদে সমগ্র চাকুরী জীবনে তাহারা একটির অধিক উচ্চতর স্কেল (টাইম স্কেল) পাইবেন না এবং এইরূপ উচ্চতর স্কেল (টাইম স্কেল) জাতীয় বেতন স্কেল ২০০৯ এ ৪র্থ স্কেলের ঊর্ধ্বের কোন কর্মকর্তা পাইবেন না।

জানা গেছে, ফজলুর রহমান ২০১৪ সালের ৮ জানুয়ারি তার বেতন স্কেলের শেষ অবস্থায় পৌঁছান। এর এক বছর পর ২০১৫ সালের ৮ জানুয়ারি নিয়ম অনুসারে উচ্চতর পরবর্তী স্কেল টাইম স্কেল হিসেবে পাওয়ার আবেদন করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থিত অডিট শাখাও তার প্রাপ্যতার বিষয়ে মত দেন। কিন্তু গত বছরের ৩১ জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ১৯৫তম সভায় আবেদনটি বাতিল করে দেওয়া হয়।

ফজলুর রহমান বলেন, গেজেট অনুসারে আমি টাইম স্কেল প্রাপ্য হই, আমি মনে করি আমাকে বঞ্চিত হয়েছি। তাই আইনের শরণাপন্ন হয়েছি।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ ইশফাকুল হোসেন বলেন, আমরা নোটিশ পেয়েছি। মামলা হলে কনটেস্ট করব।

এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে উপাচার্যের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।