নিজস্ব প্রতিবেদক

০১ জুন, ২০২০ ১৮:৫৫

রাহুলের কণ্ঠে সুমনের ‘পাতা-কাহিনী’

ক'দিন ধরেই ফেসবুকে ঘুরে বেড়াচ্ছে একটা গান। অনেকেই শেয়ার করছেন। শুধু কি ফেসবুকে? অনেকের মুখে মুখেও তো ঘুরছে। সামাজিক দুরত্ব মেনে চলা এই সময়েও কখনো-সখনো কানে ভেসে আসছে মায়াময় সুরের কিছু কলি- 'একটা ডালে দুইটা পাতা/ মিল যে ছিলো বড়'।

গানটি গেয়েছেন জলের গানের জনপ্রিয় শিল্পী রাহুল আনন্দ। সুরও তার। আর লিখেছেন কবি-লোকগবেষক সুমনকুমার দাশ। সুমন-রাহুল যৌথ প্রযোজনার এই গানের শিরোনাম- ‘পাতা-কাহিনী’। গত ২৯ মে নিজের ফেসবুকে গানটির একটি ভিডিও আপ করেন রাহুল। এরপর থেকেই তা ছড়িয়ে পড়ে ফেসবুকে। ফেসবুক থেকে মানুষের মুখে মুখে।

বিজ্ঞাপন



রাহুল আনন্দ গা্ওয়ার আগে রাহুলের সুরে জলের গানের আরেক শিল্পী মল্লিক ঐশ্বর্য কণ্ঠে গানটি প্রথম শোনা যায়।
    
গানটি প্রসঙ্গে সুমনকুমার দাশ বলেন, ‘এই করোনাকালে আচমকাই লেখা হয়ে যায় “পাতা-কাহিনি” নামের গানটি। লেখার পরও ভাবিনি, এটা মানুষের মধ্যে দাগ কাটবে। কিন্তু দেশের বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী রাহুল আনন্দদা সুর করার পর যেভাবে নিজে গাইলেন এবং তাঁরই প্রতিষ্ঠিত “জলের গান”-এর শিল্পী মল্লিক ঐশ্বর্যকে দিয়ে গাওয়ালেন, সেটা ছিল আমার জন্য বড় একটি ঘটনা। এরপর গানটি যে দ্রুত মানুষের মুখে মুখে ফিরবে, এটা কল্পনাতেও ছিল না। গানটি গাওয়ার পর থেকে প্রতিদিন চেনা-অচেনা অসংখ্য মানুষ অভিনন্দিত করছেন, তাঁদের মুগ্ধতা প্রকাশ করছেন। এটি আমার জন্য এক নতুন অভিজ্ঞতা। আমি সত্যিই অভিভূত। তবে এ গানের জনপ্রিয়তা পাওয়ার পেছনের মূল কারিগর রাহুল আনন্দদা। তাঁর জন্য আমার একরাশ ভালোবাসা।’

গীতিকার সুমনকুমার দাশ আরও বলেন, ‘গানটি চুপিচুপি লিখে নাট্যসংগঠক হুমায়ুন কবির জুয়েল ভাইয়ের কাছে ইনবক্সে পাঠিয়েছিলাম। তিনি আমার অজান্তে চুপিসারে শিল্পী রাহুল আনন্দদার কাছে গানটি পাঠিয়ে দেন। এরপর রাহুলদা সে গানে সুর দেন।’

ফেসবুকে এক আলাপচারিতায় এই গান প্রসঙ্গে রাহুল আনন্দ লিখেছেন, ‘এই গান ঝরে পড়বে না...! কখনো কখনো নিজের কাজকে খুব আদরনীয় মনে হয়...এই গানে একটা নিশানা আছে...।’

ভিডিও :

আপনার মন্তব্য

আলোচিত