০৬ জুন, ২০২০ ০১:৪১
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সারা দুনিয়া। গত পাঁচ মাসে ভয়াবহ তাণ্ডব চালিয়েছে প্রাণঘাতী এ ভাইরাস। লাখ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বিশ্বে প্রতিদিন হাজার হাজার করোনা আক্রান্ত বাড়ছে।
এমতাবস্থায় সিনেমার শুটিং ও মুক্তি দুই-ই বন্ধ রয়েছে। কিছু কিছু জায়গায় অবশ্য শুটিংয়ের অনুমতি দেয়া হচ্ছে। তবে সেক্ষেত্রে নানা রকম বিধিনিষেধ মেনে চলার তাগিদ দেয়া হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে বয়স্ক শিল্পীদের জন্য কলকাতায় তৈরি করা হয়েছে নতুন এক নিয়ম।
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়, মাধবী মুখোপাধ্যায়, লিলি চক্রবর্তী, পরাণ বন্ধ্যোপাধ্যায়দের অভিনয় করতে হলে এবার থেকে মুচলেকা জমা দিয়ে শুটিং ফ্লোরে ঢুকতে হবে। যেখানে লেখা থাকবে, শিল্পীর সম্মতিতে তাকে দিয়ে শুটিং করানো হচ্ছে। বয়স ৬৫ হলেই এমন নিয়ম।
টলিপাড়ায় শুটিং শুরু হচ্ছে ১০ জুন থেকে। সবকিছু ঠিক থাকলে ১৫ জুন থেকে বাঙালির ড্রয়িংরুমে আবার ফিরবে নতুন ধারাবাহিকতা।
বৃহস্পতিবার মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের সঙ্গে চ্যানেল কর্তৃপক্ষ, প্রযোজক, শিল্পী, টেকনিশিয়ান সব পক্ষের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে ঠিক হয়েছে এই কথা। তবে বয়স্কদের শুটিংয়ে রাখার কথা ভাবা হলেও ১০ বছরের কম বয়সী বাচ্চাদের শুটিংয়ে রাখা হবে না। আলিঙ্গন, চুম্বনে আপত্তি ছিল। সেটা থেকেই যাচ্ছে। কোনো ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অংশ নেয়া যাবে না। এসব বিষয় প্রযোজ্য হবে সিনেমাতেও।
বন্ডের কথা শুনে সিনিয়র অভিনেতাদের অনেকেই বেঁকে বসেছেন। লিলি চক্রবর্তীর স্পষ্ট কথা, ‘শুটিং শুরু হবে আঁচ পেয়েই গতকাল দু’টি ছবির জন্য ফোন করেছিলেন দুজন। একেবারে ‘না’ বলে দিয়েছি। ঝামেলার কোনো শেষ আছে? মেকআপ নিজেরা করে নিলেই ভালো। কস্টিউম নিয়ে আসতে হবে বাড়িতে পরিষ্কার করার জন্য। আমি উইগ ব্যবহার করি। সেটাও সমস্যার। এ রকম পরিস্থিতিতে কয়েক মাস শুটিং করতে চাই না।'
পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ও বুঝিয়ে দিলেন এই সিদ্ধান্ত নিয়ে তার বিরক্তির কথা। ‘শুটিং করতে চাই কি চাই না, এমন প্রশ্নের উত্তর দেওয়া মুশকিল। সামাজিক নিরাপত্তা, ব্যক্তিগত নিরাপত্তার ব্যাপার আছে। প্রস্তাব এলে ভেবে দেখবো।'
সভার পর মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের বক্তব্য, শুটিংয়ে কোনো শিল্পী বা টেকনিশিয়ান করোনায় আক্রান্ত হলে রাজ্য সরকারের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা হবে। ইন্সুরেন্স প্রিমিয়ামের ৫০ শতাংশ আসবে চ্যানেল কর্তৃপক্ষ থেকে। ৪০ শতাংশ দেবে প্রযোজক। ১০ শতাংশ দেবে আর্টিস্টস ফোরাম।
আপনার মন্তব্য