সিলেটটুডে ডেস্ক

০৮ মার্চ, ২০২০ ১৮:১৭

বিয়ে পরবর্তী জীবন নিয়ে যা বলছেন শাবনূর

২০১১ সালের ৬ ডিসেম্বর অনীক মাহমুদের সঙ্গে আংটি বদল, ২০১২ সালের ২৮ ডিসেম্বর বিয়ে; এরপর ২০১৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর আইজান নিহান নামে এক ছেলেসন্তানের মা হন শাবনূর। আর এবার ২০২০ সালের ২৬ জানুয়ারি বিবাহ বিচ্ছেদ চেয়ে উকিল নোটিশ দিয়েছেন এই অভিনেত্রী। স্বামী অনীকের সঙ্গে বনিবনা হচ্ছে না বলে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানান শাবনূর।

শাবনূরের এই বিবাহ বিচ্ছেদের উকিল নোটিশের খবর প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে এনিয়ে আলোচনার সময়ে একটি জাতীয় দৈনিকের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, বিয়ে করে ভুল করেছি। শাবনূর বলেন, ‘পরিবারের সবাই বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিল। আমারও বিয়ে করার ঝোঁক তৈরি হয়। এরপর বিয়ে করেছি। বিয়ের কিছুদিন পরই মনে হয়েছে, বিয়ে করে ভুল করেছি।’

তিনি বলেন, ‘নিজের রাজ্যে আমি নিজেই রাজা। আমি নিজেই স্বাবলম্বী। আমি নিজে পরিপূর্ণ। আমার সঙ্গে আরেকজন থাকলে যে কী উপকার, সেটাই আমি বুঝিনি। সারা জীবন আমি স্বাধীনভাবে ছিলাম। চলচ্চিত্রে স্বনির্ভর হয়ে কাটিয়েছি, পাশে আরেকজন পুরুষ মানুষ থাকলে কতটা নির্ভার থাকা যায়, সেটা বুঝতে পারিনি। তাই আমার একা থাকা না–থাকায় কোনো কিছু যায় আসে না। আমি আমার মতো বেশ ভালোই আছি।’

আমি ভেবেছিলাম, বিয়ে করলে হয়তো জীবনটা অন্য রকম হতে পারে। কিন্তু ধারণাটাই ভুল। বিয়ের পরও আমার জীবনটা বিয়ের আগের মতোই ছিল। স্বামী–স্ত্রীর জীবন কেমন হয়, বিয়ের পরও তা আমি বুঝিনি। তখনই মনে হয়েছে, বিয়ে করে ভুল করেছি।’

সন্তান নিয়ে একা থাকলেও নিজেকে মোটেও একা ভাবছেন না অভিনয়শিল্পী শাবনূর। তিনি বলেন, ‘আমার জীবন কখনোই একা না। সব সময় পরিপূর্ণ। একটা সময় আমার পরিবার আমাকে আগলে রেখেছে। সিনেমায় আসার পর দর্শকের ভালোবাসা আমাকে ঘিরে রেখেছে। স্বামীর সংসারে পরিপূর্ণ না হলে সন্তান আমাকে পূর্ণতা দিয়েছে। তা ছাড়া আমার মা, বোন, ভাই সবাই এখনো যৌথ পরিবারের মতোই আছি। সবাই মিলে ভালোই আছি। অস্ট্রেলিয়ায় পরিবারের এত লোকজন, মনেই হয় না আমি একা। এ কথা বলতে পারি, বিচ্ছেদের সিদ্ধান্তের পর আমার জীবন এখন অনেক নির্ভার। সামনে অনেক সুন্দর হবে বলেও আশা করছি। মনে করছি, জীবনের সেরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

শাবনূর আরও বলেন, ‘অভিনয়ে এসে অনেক চড়াই-উতরাইয়ের মধ্য দিয়ে নিজেকে সবার ভালোবাসার মানুষ হিসেবে তৈরি করেছি। সংসারজীবন শুরু করেছিলাম ভালো থাকার আশায়। চলচ্চিত্রে সবার ভালোবাসা পাওয়া আমার হয়তো সংসারজীবনের ভালোবাসা ভাগ্যে লেখা ছিল না। তাই সংসারজীবনে বিচ্ছেদ করতে হয়েছে। অনীকের পরিবার আছে, আমারও পরিবার আছে—দুজনেরই সমাজ আছে, সেখানে দুজন নিজেদের মতো করে থাকুক এটাই চেয়েছি।’

আপনার মন্তব্য

আলোচিত