সিলেটটুডে ডেস্ক

০২ অক্টোবর, ২০১৮ ২৩:৪৫

মোবাইল অপারেটর বদলাতে যা করতে হবে

মোবাইল নম্বর সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছে কিংবা দীর্ঘদিন একই নম্বর ব্যবহার করার কারণে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও যারা নম্বর পরিবর্তন করতে পারছিলেন না, তাদের জন্যে এবার নম্বর ঠিক রেখে অপারেটর বদলের সুযোগ এসেছে। ১ অক্টোবর থেকে দেশব্যাপী এই সেবা চালু হয়েছে।

‘মোবাইল নম্বর পোর্টেবিলিটি’ বা এমএনপি সেবায় আগের নম্বর অপরিবর্তিত রেখে অপারেটর বদলানো যাবে। এতে একজন গ্রাহককে ৫০ টাকা ফির সঙ্গে সিম রিপ্লেসমেন্ট ট্যাক্স এবং ভ্যাটসহ মোট ১৫৮ টাকা খরচ করতে হবে।

গত নভেম্বরে লাইসেন্স পাওয়া বাংলাদেশ ও স্লোভেনিয়ার কনসোর্টিয়াম ইনফোজিলিয়ন বিডি-টেলিটেক এই সেবার জন্য ‘নম্বর পোর্টেবিলিটি ক্লিয়ারিং হাউজের’ কাজ করছে। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, যেহেতু গ্রাহকের অপারেটর বদল হচ্ছে, সেহেতু তাকে নতুন অপারেটরের সিম তুলতে হবে।

এমএনপি সেবা পেতে গ্রাহকদের যা করতে হবে:
গ্রাহক যে অপারেটরে যেতে চান, সেই অপারেটরের গ্রাহকসেবা কেন্দ্রে যেতে হবে। পুরনো অপারেটরের সচল সিমটি সঙ্গে নিতে হবে।

গ্রাহক সেবা কেন্দ্রে এমএনপি সেবা নেওয়ার কথা জানালে সেখান থেকে পুরনো অপারেটরের সঙ্গে অনলাইনে যোগাযোগ করে পোর্টিংয়ের (এক অপারেটর থেকে অন্য অপারেটর যাওয়ার অনুরোধ) আবেদন করা হবে।

পুরনো অপারেটর ছাড়পত্র দিলে নম্বর পোর্টেবিলিটি ক্লিয়ারিং হাউজ নম্বর পোর্টিং করে দেবে।

পুরো বিষয়টি হবে অনলাইনে। ইলেকট্রনিক রেজিস্ট্রেশন ব্যবস্থা চালু থাকায় গ্রাককে অপারেটর বদলাতে ছবি আর জাতীয় পরিচয়পত্র দেখাতে হবে না। আঙুলের ছাপ মিলে গেলেই তার তথ্য এক অপারেটর থেকে অন্য অপারেটরে স্থানান্তর হয়ে যাবে।

নতুন সিম পেতে একজন গ্রাহকের সময় লাগবে ৫ মিনিটের মত। তবে সিম সক্রিয় হতে সময় লাগবে সর্বোচ্চ ৭২ ঘণ্টা।

পোস্ট পেইড গ্রাহকের ক্ষেত্রে পুরনো অপারেটরের কাছে বকেয়া থাকলে তা পরিশোধ না করে অপরারেটর বদলানো যাবে না।

প্রিপেইড গ্রাহক নতুন অপারেটরের পোস্ট পেইডে বা পোস্ট পেইড গ্রাহক প্রিপেইডে যেতে পারবেন না।

পুরনো অপারেটরে অব্যবহৃত ব্যালেন্স বা ডেটা নতুন অপারেটরে স্থানান্তর হবে না। এ কারণে ব্যালেন্স শেষ করে তবেই এমএনপিতে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি।

আবারও অপারেটর পরিবর্তন করতে হলে গ্রাহককে ৯০ দিন অপেক্ষা করতে হবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত