আন্তর্জাতিক ডেস্ক

০৪ জুলাই, ২০২০ ২০:৪১

দক্ষিণ চীন সাগরে দুটি মার্কিন রণতরী

দক্ষিণ চীন সাগরের কাছে সামরিক মহড়ায় অংশ নিতে দুই দুটি সুপার ক্যারিয়ার শ্রেণির বিশালাকার রণতরী পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ইউএসএস রোনাল্ড রিগ্যান এবং ইউএসএস নিমিৎজ নামের রণতরী দুটির উপস্থিতি ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে আধিপত্য বিস্তারের বেইজিংয়ের উচ্চাকাঙ্ক্ষী পরিকল্পনাকে চাপের মুখে ফেলবে- বলে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছে ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ।

বিশেষ করে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর লাদাখের গালোয়ান উপত্যকায় চীন-ভারতের সেনা সংঘর্ষের পরই এ রণতরী পাঠাচ্ছে ওয়াশিংটন, যা সম্প্রতি ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও লাদাখ সফরে গিয়ে চীনের বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দিতে উৎসাহিত করে। খবর ব্লুমবার্গ ও হিন্দুস্তান টাইমসের।

সর্বশেষ পাওয়া খবরে জানা গেছে, বর্তমানে সুপার ক্যারিয়ার দুটি সহযোগী যুদ্ধজাহাজসহ লুজন প্রণালি অতিক্রম করছে। তাইওয়ান এবং ফিলিপাইনের লুজন দ্বীপের মধ্যে দিয়েই প্রবাহিত লুজন প্রণালী, যা ফিলিপাইন উপসাগরকে দক্ষিণ চীন সাগরের সঙ্গে যুক্ত করেছে।
 
সাধারণত প্রতিটি সুপার ক্যারিয়ারের সঙ্গে কমপক্ষে একটি গাইডেড মিসাইল ক্রুজার, ছয় থেকে আটটি ডেস্ট্রয়ার, অনুরূপ সংখ্যার ফ্রিগেট, প্রয়োজন মাফিক মাইন অপসারণকারী জাহাজ মোতায়েন করা হয়। আরও থাকে রসদ সরবরাহকারী জাহাজ। এসব মিলে তৈরি হয় একেকটি ক্যারিয়ার গ্রুপ। কিন্তু চীনের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়তে একসঙ্গে দুই দুটি ক্যারিয়ার গ্রুপ পাঠাল ওয়াশিংটন।  

দক্ষিণ চীন সাগরের বিতর্কিত অঞ্চলে নতুন করে সামরিক মহড়া দেওয়ার বেইজিংয়ের সাম্প্রতিক ঘোষণার পরই সেখানে রণতরীগুলো মোতায়েনের ঘোষণা দেয় ওয়াশিংটন।

বিজ্ঞাপন

মার্কিন নৌবাহিনীর এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে জানানো হয়, 'ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চলাচলের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করা' তাদের সাম্প্রতিক মিশনের প্রধান উদ্দেশ্য।

বিবৃতিতে যৌথ ক্যারিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপের প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল জর্জ এম উইকফ বলেন, 'এর মধ্যে দিয়ে আঞ্চলিক সুরক্ষা এবং স্থিতিশীলতা রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রের দৃঢ় প্রতিশ্রুতি এ অঞ্চলের মার্কিন মিত্রদেশগুলোকে জানিয়ে দেওয়া হলো।'

দক্ষিণ চীন সাগরের ওপর যুক্তরাষ্ট্র নিজের ও তার আঞ্চলিক মিত্র জাপান, ফিলিপাইন, ভিয়েতনামের নিয়ন্ত্রণ রক্ষায় সচেষ্ট। অন্যদিকে চীন দক্ষিণ সাগরের ৯০ শতাংশের মালিকানা দাবি করে। বিশ্ববাণিজ্যের জন্য অতি-গুরুত্বপূর্ণ এই নৌপথ দিয়ে প্রতিবছর ৩ লাখ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করা হয়। নিজেদের বাণিজ্যিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে ইতোমধ্যেই এ সাগরে বেশকিছু কৃত্রিম দ্বীপ ও সেখানে বিমানঘাঁটি নির্মাণ করেছে চীন।

চীন ছাড়াও খনিজ ও মৎস্য সম্পদে ভরপুর দক্ষিণ চীন সাগরের এলাকার অন্য দাবিদারেরা হলো; ব্রুনেই, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, তাইওয়ান এবং ভিয়েতনাম। অন্যদিকে দক্ষিণ চীন সাগরের দূরবর্তী সেনকাকু-দিয়াউ দ্বীপের প্রকৃত মালিকানা নিয়ে জাপানের সঙ্গে চীনের বিরোধ রয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত