আন্তর্জাতিক ডেস্ক

২২ আগস্ট, ২০২০ ১৯:০৯

ফের কমেছে ডলারের দাম

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে বেকার সংখ্যা বৃদ্ধির পর অন্য অনেক দেশের মুদ্রার বিপরীতে ডলারের দাম কমেছে। ডলারের বিপরীতে ইউয়ানের দাম বেড়ে গত সাত মাসে সর্বোচ্চ হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার কূটনৈতিক  উত্তেজনা চীনের অর্থনীতি নিয়ে আশাবাদী ব্যবসায়ীদের ওপর তেমন প্রভাব ফেলেনি।

এদিকে, ডলারের মূল্য হ্রাসে লাভবান হয়েছে ইউরো মুদ্রা। যুক্তরাষ্ট্রে চাকরিক্ষেত্রে নতুন নিয়োগের সংখ্যা কমছে বলে ফেডারেল অফিসের দেওয়া ঘোষণার এক সপ্তাহ পরই দেখা যায়, সপ্তাহভিত্তিক হিসাবে দেশটিতে নতুন বেকার হওয়া মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর ফলে করোনাভাইরাসের প্রভাব থেকে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়াবার ব্যাপারে আশংকা সৃষ্টি হয়েছে।

মোনেক্স সিকিউরিটির কর্মকর্তা সুতোমু সোমা বলেন, 'ডলার বর্তমানে দুর্বল অবস্থায় আছে। অন্যদিকে স্থিতিশীল থাকার কারণ, ইউরোপের দেশগুলো ভেঙ্গে পড়া অর্থনীতিকে সচল রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে।'

গত শুক্রবার ইউরো প্রতি ডলারের মান কমেছে ০.২ শতাংশ। ইউরো প্রতি ডলারের দাম এখন ১.১৮৭৪ ডলার।

মান কমে যাওয়ায় পাউন্ড প্রতি ডলারের মূল্য এখন ১.৩২৩৭ ডলার। অর্থাৎ পাউন্ডের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে ০.৮ শতাংশ।

সুইস ফ্রাংকের বিপরীতেও ডলারের মান কমেছে।

বিজ্ঞাপন

ইতোমধ্যেই করোনাভাইরাসের প্রভাবে স্তিমিত হয়ে পড়া অর্থনীতির সব ধরনের ক্ষতি পুষিয়ে নিয়েছে চীন। দেশটির মূল ভূখণ্ডে ডলার প্রতি ইউয়ানের দাম বেড়ে হয়েছে ৬.৮৯৬০ ইউয়ান, যা গত ২২ জানুয়ারির পর সর্বোচ্চ।

তাছাড়া মূল ভূখণ্ডের বাইরে ইয়ানের দাম বেড়ে ডলার প্রতি ৬.৮৯৩৫ ইউয়ান হয়েছে যা গত ২১ জানুয়ারির পর সর্বোচ্চ।  

অন্যদিকে, গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে নতুন করে বেকার ভাতা দাবি করা মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ১ মিলিয়ন ছাড়িয়ে যায়। এছাড়াও ট্রেজারি খাতে দরপতনের প্রভাবও পড়েছে ডলারের মূল্য হ্রাসের ওপর।

৬টি মুদ্রার বিপরীতে এ নিয়ে টানা নবমবারের মতো সাপ্তাহিক মূল্যমান হ্রাস পেয়েছে ডলারের।

বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন, ইউরোর মান বৃদ্ধি পাবে; কারণ ইউরোপীয় দেশগুলোর সরকার ভেঙ্গে পড়া অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি বাড়াতে দৃঢ় পদক্ষেপ নিয়েছে।

অকস্মাৎ অর্থনৈতিক পরিবর্তন সামলানোর ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রে রিপাবলিকান ও ডেমোক্রেটদের মধ্যে দ্বন্দ্ব বিদ্যমান। এই পরিস্থিতিও ডলারের বিপরীতে ইউরোকে সুবিধা দিচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

অন্যদিকে, অস্ট্রেলিয়ান ডলারের মূল্যমান স্থিতিশীল রয়েছে।

খবর : রয়টার্স

আপনার মন্তব্য

আলোচিত