সিলেটটুডে ডেস্ক

২১ নভেম্বর, ২০২০ ২৩:৪৪

এখনও জয় দাবি করছেন ট্রাম্প

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজের পরাজয় যেন মেনেই নিতে পারছেন না। এখনও সেই ভাঙা রেকর্ড বাজিয়ে চলেছেন। গতকাল শুক্রবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের তিনি শোনালেন সেই পুরোনো কথা। বললেন, নির্বাচনে তিনিই ‘জয়ী’ হয়েছেন। জনগণ এই ফল বের করে আনবে।

তার দাবি নিয়ে সাংবাদিকদেরও কোনো প্রশ্ন করার সুযোগ দিলেন না।

শুক্রবার হোয়াইট হাউসে ব্রিফিংয়ে মূলত ওষুধের দাম কমানোর বিষয়ে ট্রাম্পের ঘোষণা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ব্রিফিংয়ে তিনি সেই বিষয়টিকে ফোকাস না করে ৩ নভেম্বরের নির্বাচনে জয়ের মিথ্যা দাবি করে বসেছেন। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্র্যাটপ্রার্থী জো বাইডেনের কাছে বিপুল ব্যবধানে তার পরাজয় হয়।

দ্য নিউইয়র্ক ডেইলি নিউজের খবরে বলা হয়, ব্রিফিংয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘নির্বাচনের আগে বড় বড় ওষুধ কোম্পানি আমার বিরুদ্ধে প্রচারণায় লাখ লাখ ডলার ব্যয় করেছে...যে নির্বাচনে আমি জয়ী হয়েছি। যাই হোক, আমরা সেটি খুঁজে বের করব। প্রায় ৭ কোটি ৪০ লাখ ভোট...।’

বাস্তবতা হচ্ছে, ইলেকটোরাল কলেজের হিসাবে বাইডেন ৩০৬–২৩২ ব্যবধানে ট্রাম্পের বিপক্ষে জয়ী হয়েছেন। ২০১৬ সালে জর্জিয়া, অ্যারিজোনা, মিশিগান ও উইসকনসিনসহ যেসব সুইং স্টেট বা দোদুল্যমান রাজ্যে তিনি জিতেছিলেন এবার সেগুলোতে হেরেছেন। ২০১৬ সালে যখন হিলারি ক্লিনটনের বিপক্ষে প্রায় একই ব্যবধানে জয়ী হয়েছিলেন, তখন তিনি সেটিকে তার ‘ভূমিধস বিজয়’ বলে আখ্যা দিয়েছিলেন।

শুধু ইলেকটোরাল ভোট নয়, পপুলার ভোটেও বাইডেনের চেয়ে অনেক পিছিয়ে ট্রাম্প। বাইডেন তার চেয়ে ৬০ লাখ বেশি পপুলার ভোট পেয়েছেন। কিন্তু ট্রাম্প কোনো প্রমাণ ছাড়াই অব্যাহতভাবে অভিযোগ করে যাচ্ছেন, ডাকযোগে আসা বিপুল বেআইনি ভোটই বাইডেনকে জয়ী করেছে।

ব্রিফিংয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অভিযোগের আঙুল তুলেছেন ওষুধ কোম্পানি ফাইজার ও মডার্নার দিকে। বলেছেন, তাদের কোভিড–১৯ ভ্যাকসিন ক্লিনিক্যাল পরীক্ষায় যে সফল হয়েছে, সেটি ইচ্ছা করেই তারা নির্বাচন পর্যন্ত গোপন করে রেখেছিল।

ব্রিফিংয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘তারা অপেক্ষা করেছে আর অপেক্ষা করেছে। কে জানে, নির্বাচনে এটির প্রভাব থাকতেও পারে। তবে এই দুর্নীতিগ্রস্ত খেলা আমাদের দমাতে পারবে না। যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকের জন্য সঠিক কাজটি আমরা করবই।’

আপনার মন্তব্য

আলোচিত