আন্তর্জাতিক ডেস্ক

২৭ নভেম্বর, ২০২০ ১৪:২০

ম্যারাডোনার শেষ শ্রদ্ধায় ভক্তদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ

কিংবদন্তি ফুটবলার ডিয়েগো ম্যারাডোনার শেষ শ্রদ্ধায় পুলিশের সঙ্গে ম্যারাডোনা ভক্তদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) স্থানীয় সময় আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েনস এইরেসে বেল্লা ভিস্তায় বাবা-মায়ের পাশে সমাহিত করা হয় এই ফুটবল জাদুকরকে। তার আগে প্রেসিডেন্সিয়াল প্যালেসে ভক্তদের কান্নাভেজা চোখ শেষ শ্রদ্ধা জানায় ফুটবল ঈশ্বরকে।

বিবিসি জানায়, দুপুরে যখন ভক্তরা ফুটবল কিংবদন্তিকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে আসেন, তখন প্রায় এক কিলোমিটার পর্যন্ত দীর্ঘ মানুষের লাইন দেখা যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কঠোর অবস্থান নিতে হয় পুলিশকে।

বিজ্ঞাপন

ভক্তদের উত্তেজনা প্রশমনে কাঁদানে গ্যাস, রাবার বুলেট ও জলকামান ব্যবহার করেছে পুলিশ। ভক্তরা বেড়া ডিঙিয়ে ঢুকে পড়েছিলেন ম্যারাডোনাকে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর সীমানার মধ্যে। বোতল ছুড়ে মেরেছেন কেউ কেউ। এক পর্যায়ে শ্রদ্ধা জানানোর প্রক্রিয়া বন্ধ রাখে পুলিশ।

শেষ শ্রদ্ধা জানাতে আসা ম্যারাডোনা ভক্ত রুবেন ফার্নান্দেজ বলেন, আমরা শান্তভাবে লাইন ধরে শ্রদ্ধা জানাচ্ছিলাম, হঠাৎ করে পুলিশ রাবার বুলেট ছুড়তে শুরু করে।

বিজ্ঞাপন

বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন ম্যারাডোনা। পরিবার থেকে বুয়েন্স আয়ার্সের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। জটিল অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল তার মস্তিষ্কে। একটু সুস্থ হতেই ফের বাড়ি ফেরেন তিনি। বাড়িতেই বুধবার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মাত্র ৬০ বছর বয়সে চিরবিদায় নেন ফুটবলের অমর জাদুকর। ম্যারাডোনার মৃত্যুতে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে।

১৯৮৬ বিশ্বকাপে ম্যারাডোনা মনোমুগ্ধ করে দিয়েছিলেন গোটা বিশ্বকে, যার ছোঁয়া লেগেছিল এই বাংলাদেশেও। মূলত ওই বিশ্বকাপ থেকেই, ওই প্রজন্ম থেকেই এ দেশে বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার পতাকা ওঠে ছাদে। ম্যারাডোনার ওই বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তার 'হ্যান্ড অব গড' গোলটি আইকনিক হয়ে ওঠে।

১৯৯০ বিশ্বকাপেও তিনি আর্জেন্টিনাকে ফাইনালে তুলেছিলেন। কিন্তু সেরা হতে পারেননি। ১৯৯৭ সালে ফুটবলকে বিদায় জানানোর পর কোচিং শুরু করেছিলেন। ২০০৮ থেকে ২০১০ পর্যন্ত মেসিদেরও কোচ ছিলেন। কিন্তু বিশ্বকাপ ট্রফি জেতাতে পারেননি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত