আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১৭ ডিসেম্বর, ২০২০ ১৩:৫০

সুসম্পর্কের বিষয়ে প্রাধান্য পায় বাংলাদেশ : মোদি

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (ফাইল ছবি)

সুসম্পর্কের বিষয়ে সবসময় বাংলাদেশকে প্রাধান্য দেয়া হয় বলে জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এছাড়া বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক প্রতিনিয়ত আরও শক্তিশালী হচ্ছে বলে জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে এক ভার্চুয়াল বৈঠকে এ কথা বলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।

বেলা সাড়ে ১১টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে এই বৈঠকে যুক্ত হন। অন্যদিকে নরেন্দ্র মোদি তার দপ্তর থেকে যুক্ত হয়েছেন বৈঠকে। বৈঠকে করোনা মোকাবিলায় ও অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায় দুই দেশ এক সাথে কাজ করবে বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন দুই দেশের সরকারপ্রধান।

বিজ্ঞাপন

বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী বছর মোদিকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানালে বঙ্গবন্ধুকন্যাকে ধন্যবাদ জানান ভারতের সরকারপ্রধান। মোদি বলেন, ‘আপনার সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন আমার জন্য একটি সম্মানের বিষয়।’

দুই দেশের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মোদি বলেন, ‘গতকাল বিজয় দিবস উপলক্ষে আমি জাতীয় ওয়ার মেমোরিয়াল পরিদর্শন করি এবং একটি বিজয় মশাল প্রজ্বলন করি। এই মশাল সারা ভারতে ঘোরানো হবে এবং ভারতীয় শহীদদের গ্রামে নেওয়া হবে।’ বাংলাদেশের বিজয় দিবস উপলক্ষে ভারতে একাধিক কর্মসূচি পালিত হবে বলেও তিনি জানান।

বিজ্ঞাপন

বঙ্গবন্ধুর সম্মানে ডাক বিভাগে টিকিট উন্মোচন বিষয়ে ভারতের সরকারপ্রধান বলেন, ‘এটি আমার জন্য সম্মানের যে আমি আপনার সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর ওপর ডাক টিকিট অবমুক্ত এবং বাপু-বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল এক্সিবিশন উদ্বোধন করছি।’

বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক প্রতিনিয়ত আরও শক্তিশালী হচ্ছে দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, ‘এটা ঠিক যে বৈশ্বিক মহামারির কারণে এই বছর অনেক সমস্যা হয়েছে। কিন্তু সন্তোষের বিষয় হলো এই কঠিন সময়ে ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক রাখা। সেটা হোক ওষুধ, ভ্যাকসিন চিকিৎসা সরঞ্জাম, স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে কাজ করা।’

চলমান এই বছরটি মহামারির জন্য অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং, তবে এরমধ্যেও ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ভালো সহযোগিতা ছিল এবং ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রেও দুই দেশের সহযোগিতা আছে বলে তিনি জানান।

বিজ্ঞাপন

সার্ক কাঠামোতে দুই দেশ কাজ করছে জানিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অন্যান্য ক্ষেত্রেও আমাদের অংশীদারিত্ব এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা স্থলসীমান্ত বাণিজ্যে সমস্যা কমাতে পেরেছি, কানেকটিভিটি অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে এবং নতুন নতুন জিনিস যোগ হয়েছে। এই উদ্যোগ প্রমাণ করে যে আমরা সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে চাই।’

এর আগে দুই প্রধানমন্ত্রীর ভার্চুয়াল বৈঠকের অংশ হিসেবে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য, জ্বালানি, কৃষিসহ সাতটি খাতে সহযোগিতার ক্ষেত্রে সাতটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করেছে। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় এসব সমঝোতা স্মারক সই হয়। এছাড়া দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা হলদিবাড়ি-চিলাহাটি রুটে রেল ফের চলাচলের উদ্বোধন করেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত