সিলেটটুডে ডেস্ক

১৮ জানুয়ারি, ২০২১ ২০:২৭

ঘরের সন্ত্রাস নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন: তথ্যমন্ত্রী

বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠন আল-কায়েদার উপস্থিতি রয়েছে বলে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর দেওয়া বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাস ও বর্ণবাদ নিয়ে আরও মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে আল-কায়েদার কোনো উপস্থিতি নেই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো একটি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অজ্ঞতাপ্রসূত যখন এই বক্তব্য রাখেন সেটি খুবই দুঃখজনক। সরকারের পক্ষ থেকে এর তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।’

সোমবার তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি একথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি মনে করি, আজকের বাস্তবতায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যেভাবে সহিংসতা দেখা দিয়েছে, পার্লামেন্ট হামলা চালিয়ে সেখানে কয়েকজন নিহত হয়েছেন। আমাদের দেশে কিংবা ভারতে বা আশপাশে কোনো দেশে এভাবে পার্লামেন্টে যখন অধিবেশন চলছে তখন কি হামলা হয়েছে? হয়নি।’

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে জয়ী হয়ে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নিতে চলেছেন ডেমোক্র্যাট নেতা জো বাইডেন। তবে তার এই জয় মেনে নিতে নারাজ প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকরা এরইমধ্যে কংগ্রেসের অধিবেশন চলাকালে ক্যাপিটল ভবনে হামলা চালিয়েছেন। এতে পাঁচজন নিহত হয়েছেন।

এরপর প্রেসিডেন্ট হিসেবে জো বাইডেনের অভিষেক সামনে রেখে রোববার দেশটির স্টেটগুলোর ক্যাপিটল ভবনের কাছে বিক্ষিপ্ত বিক্ষোভ হয়েছে। যেখানে সশস্ত্র অবস্থায় অনেককে দেখা গেছে।

আগামী বুধবার বাইডেনের শপথ অনুষ্ঠানের দিনও দেশজুড়ে সশস্ত্র বিক্ষোভ হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আশঙ্কার কথা বলা হচ্ছে যেদিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট শপথ গ্রহণ করবেন, এফবিআই তথ্য দিয়েছে সেদিন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সারা দেশব্যাপী সহিংসতা ছড়াতে পারে, বিক্ষোভ হতে পারে। যে কোনো দেশে সন্ত্রাসবাদ দমন আমাদের সম্মিলিত দায়িত্ব এবং লক্ষ্য। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেক্ষাপটে আমি মনে করি, তাদের অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাস দমনে বেশি মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন।’

যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে বাংলাদেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ‘অনেক ভালো’ কি না প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী পাল্টা প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘আমাদের দেশে কিংবা ভারতে সংসদে অধিবেশন চলাকালে উত্তেজিত জনতা কি ইতিহাসে কখনও এভাবে হামলা চালিয়েছে, যেটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে হয়েছে? সেই বিবেচনায় তো আমাদের সংসদে এ ধরনের কোনো হামলা হয়নি। এই বিবেচনা থেকে যে উপসংহার আসে সেটি কী বলে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আমি মনে করি বর্তমানে তাদের অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাসবাদ এবং বর্ণবাদ এই দুইটি বিষয়ে আরও মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন।’

আপনার মন্তব্য

আলোচিত