সিলেটটুডে ডেস্ক

২১ জানুয়ারি, ২০২১ ২২:৪৬

টিকা নেবেন মোদিও

ভারতে টিকাদান কার্যক্রমের শুরুতে রাজনীতিবিদেরা টিকা গ্রহণ না করায় শুরু হয়েছে সমালোচনা, প্রভাব পড়েছে মানুষের আগ্রহেও। এমন অবস্থায় দেশবাসীকে টিকায় আরও বেশি আগ্রহী করে তুলতে প্রচারের নেমেছে কেন্দ্রীয় সরকার। টিকা নিয়ে ভ্রান্ত ধারণা কাটাতে সরকারি উদ্যোগে দেশব্যাপী প্রচার অভিযান শুরু হয়েছে। প্রচারাভিযানে বলা হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও টিকা নেবেন। টিকা নেবেন পঞ্চাশোর্ধ্ব কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরাও।

সরকারি সূত্রের বরাতে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম প্রধানমন্ত্রীর টিকা নেওয়ার এই খবর জানিয়েছে।

গণটিকাকরণে দেশজোড়া অনাগ্রহ সরকারকে বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে ফেলেছে। ফেলেছে চিন্তাতেও। শীর্ষ রাজনৈতিক নেতাদের প্রথম পর্যায়ে টিকা না নেওয়ার সিদ্ধান্ত অন্য রকমের সমালোচনাও সৃষ্টি করেছে। বলা হচ্ছে, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে শতভাগ নিশ্চিত না হওয়ার দরুন নেতারা টিকা নিচ্ছেন না। জনগণকে গিনিপিগ বানানো হচ্ছে। অপপ্রচার ও সমালোচনা এড়াতে যেমন প্রধানমন্ত্রীসহ শীর্ষ নেতাদের টিকা গ্রহণের সিদ্ধান্ত, তেমনি বিভ্রান্তি দূর করতে শুরু হয়েছে প্রচারাভিযান। বলা হচ্ছে, টিকাসংক্রান্ত সরকারি তথ্যের ওপরই যেন সবাই আস্থা রাখেন।

দেশটিতে প্রথম পর্যায়ে টিকা দেওয়ার কথা তিন কোটি জনতাকে। তাদের মধ্যে আছেন সব ধরনের চিকিৎসক, চিকিৎসাকর্মী ও জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত মানুষজন। এর পরের পর্যায়ে টিকা দেওয়ার কথা দেশের ২৭ কোটি প্রবীণ ও কোমর্বিডিটি (একজন ব্যক্তি, যার একটি রোগ বা উপসর্গ আছে, তার আরও এক বা একাধিক অন্যান্য রোগ বা উপসর্গ) থাকা নবীন নাগরিকদের।

বলা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীসহ রাজনৈতিক নেতারা এই পর্বেই টিকা নেবেন। তবে এই টিকা গ্রহণের দিন-তারিখ জানানো হয়নি।

ভারতে গণটিকাকরণ শুরু হয়েছে ১৬ জানুয়ারি থেকে। দেশে মোট ৩ হাজার ৬টি টিকাকেন্দ্র খোলা হয়েছে। প্রতি কেন্দ্রে গড়ে দিনে ১০০ জনকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা স্থির হয়েছে। অর্থাৎ দিনে কমবেশি ৩ লাখ। অথচ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন বলেছেন, বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত দেশে মোট টিকা নিয়েছেন ৮ লাখ মানুষ। প্রথম দুদিনে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সংখ্যা ছিল ছয় শর মতো। দু-তিন জনের মৃত্যুও হয়েছে—যদিও তা টিকার জন্য কি না, সে বিষয়ে বিতর্ক রয়েছে।

সরকার মনে করছে, বিভিন্ন মহলের নানা ধরনের ‘অপপ্রচার ও গুজব’এই অনাগ্রহের কারণ। বিরোধীরা আবার বলছেন, শীর্ষ নেতাদের উচিত সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া। নেতারা এগিয়ে এলে জনতা আস্থা পায়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত