২৫ জানুয়ারি, ২০২১ ১৪:৪৯
যুক্তরাজ্যে শুরুতে একটু অনীহা থাকলেও এখন করোনার ভ্যাকসিন নিতে আগ্রহী হয়ে উঠছে মানুষ। ১০০ জনের মধ্যে প্রায় ৮০ জনই ভ্যাকসিন গ্রহণে উৎসাহ দেখাচ্ছে। ভাইরাসের বিস্তার রোধে সচেতনতাও বাড়ছে দেশজুড়ে।
সরকারি এক জরিপের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে ডেইলি মেইল। এই জরিপেই উঠে এসেছে, কীভাবে ভ্যাকসিনের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে মানুষের।
যেকোনও দেশে হার্ড ইমিউনিটি তৈরির জন্য যে পরিমাণ ভ্যাকসিন প্রয়োগের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়, যুক্তরাজ্যে এখন ভ্যাকসিন নিতে আগ্রহী মানুষের সংখ্যা তারও বেশি বলে মনে করা হচ্ছে।
ভ্যাকসিন প্রয়োগের ক্ষেত্রে এক ডোজ দেওয়ার দুই থেকে তিন সপ্তাহ পর দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হচ্ছিল এতদিন; নির্ধারিত এই সময় বাড়িয়ে এখন অন্তত ১২ সপ্তাহ করা হয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটেই আগ্রহ বাড়ছে অনেকের।
দুই ডোজ প্রয়োগের সময় বাড়ানোর ব্যাপারটির সমালোচনা করে একজন চিকিৎসক বলেছেন, এটা ‘লাইসেন্সবিহীন কর্ম’। আর যুক্তরাজ্যের মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন বলেছে, ফাইজারের টিকার ক্ষেত্রে দুই ডোজের ব্যবধান ছয় সপ্তাহের বেশি হওয়া উচিত না।
অবশ্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক বলেছেন, প্রথম ডোজ বড় পরিসরে ইমিউনিটি তৈরি করেছে। এজন্য বেশি মানুষের জীবন বাঁচাতে দ্বিতীয় ডোজ দেরিতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
ডেইলি মেইল বলছে, এরই মধ্যে ভ্যাকসিন গ্রহীতাদের পরিস্থিতি দেখে ভ্যাকসিন গ্রহণে আগ্রহী হয়েছে মানুষ। আস্থাও পাচ্ছে তারা।
সরকারের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তারা মানুষের মধ্যে শক্তভাবে আস্থা তৈরি করতে পেরেছেন।
সরকারের মুখ্য বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা স্যার পেট্রিক ভ্যালেসন্স বলেন, ৭০ ভাগ মানুষকে করোনা থেকে সুরক্ষিত থাকতে হবে। তাহলেই কোনও এলাকায় ‘হার্ড ইমিউনিটি’ তৈরি হবে।
তিনি জানান, এরই মধ্যে ৮০ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে প্রতি চারজনে তিনজনই ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন। অন্যদের মধ্যেও ভ্যাকসিন গ্রহণের আগ্রহ বেড়েছে।
আপনার মন্তব্য