আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১১ মার্চ, ২০২১ ১৪:০৩

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চোট গুরুতর, চিড় ধরেছে পায়ের পাতায়

নন্দীগ্রামে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে আহত ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পায়ের চোট গুরুতর। বিধানসভা নির্বাচনে তার প্রচারণা নিয়েও ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে।

এই সময় জানায়, এমআরআই করাতে বাঙুর ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স নিয়ে যাওয়া হয়েছিল মমতাকে। একাধিক পরীক্ষার পর ফের এসএসকেএম হাসপাতালে ফিরিয়ে আনা হয় তাকে।

তৃণমূলের সাংসদ ডা. শান্তনু সেন জানিয়েছেন, পরীক্ষার পর দেখা গেছে মুখ্যমন্ত্রীর পায়ের পাতায় চিড় ধরেছে। লিগামেন্ট, টিস্যুতেও চোট লেগেছে তার।

জানা গেছে, মমতার বাঁ-পায়ের গোড়ালি ফুলে রয়েছে। চোট লাগা অংশে তীব্র ব্যথা রয়েছে।

চিকিৎসকরা বলছেন, এই ধরনের আঘাতে সাধারণত দেড়-দুইমাস বিশ্রামে থাকার প্রয়োজন পড়ে। তার পায়ে প্লাস্টার করতেও হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

এসএসকেএম হাসপাতালের কর্মকর্তা মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘বাঁ-পায়ের গোড়ালি ও পায়ের পাতায় সিভিয়ার ইনজুরি রয়েছে। ডান দিকের কাঁধে ও কবজিতে চোট রয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ঘটনার পর থেকে তিনি ট্রমার মধ্যে রয়েছেন। ঘটনার পর থেকে বুকে ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট অনুভব করছেন। চিকিৎসক দলের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। ৪৮ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে থাকবেন তিনি।’

এদিকে মমতার নির্বাচনী প্রচার নিয়েও ধোঁয়াশা তৈরি হতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে।

অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী হাসপাতালে পৌঁছানোর খবর পেয়ে তাকে সেখানে দেখতে যান রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। এ সময় এসএসকেএম চত্বরে থাকা তৃণমূল কর্মীরা রাজ্যপালকে দেখেই ‘গো-ব্যাক’ স্লোগান দিতে থাকেন।

বুধবার নন্দীগ্রামের রেয়াপাড়ায় একটি মন্দিরে পূজা দিয়ে বের হওয়ার সময় চার-পাঁচজন মমতাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় বলে অভিযোগ। এ ঘটনার পর নির্বাচনী প্রচার কর্মসূচি মাঝপথে বন্ধ করে মমতাকে কলকাতায় ফিরিয়ে নেওয়া হয়।

কলকাতায় ফেরার পথে রাস্তায় সাংবাদিকরা মমতার গাড়ি থামালে তিনি বলেন, ‘ভিড়ের মধ্যে ৪-৫ জন বাইরে থেকে ঢুকে পড়েছিল। ধাক্কা মেরে ফেলে দেয় আমাকে। ইচ্ছাকৃতভাবে ধাক্কা মারা হয়। এর পেছনে ষড়যন্ত্র ছিল।’

আপনার মন্তব্য

আলোচিত