সিলেটটুডে ডেস্ক

১৬ মার্চ, ২০২১ ১২:৫১

নতুন রূপে আইএস-বধূ শামীমা, ব্রিটেনে ফিরতে মরিয়া

বার বার আকুতি জানানো পরও ব্রিটেনে ফিরতে পারছেন না ব্রিটিশ-বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আইএস-বধূ শামীমা বেগম। তাকে যুক্তরাজ্যে ফেরার সুযোগ দেয়া হবে না বলে সম্প্রতি রায় দিয়েছে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। অপরদিকে যুক্তরাজ্যে ফিরতে যেন মরিয়া হয়ে উঠেছেন শামীমা। সে কারণেই হয়তো নিজের পোশাকেও বদল এনছেন।

তাকে সম্প্রতি বোরকা ছেড়ে পশ্চিমা পোশাকে দেখা গেছে। তিনি সিরিয়ার যে ক্যাম্পে আছেন সেখানকার কিছু ছবি সম্প্রতি সামনে এসেছে। সেখানেই দেখা গেছে তার পোশাক এবং চলাফেরা একেবারেই বদলে গেছে। সম্প্রতি উত্তর-পূর্ব সিরিয়ার রজ ক্যাম্প শরণার্থী শিবিরে তোলা শামীমার বেশ কয়েকটি ছবি প্রকাশিত হয়।

রঙিন চুল, চোখে সানগ্লাস আর নতুন পোশাকে শামীমা বেগমকে চেনার উপায় নেই। ২১ বছর বয়সী শামীমা যুক্তরাজ্যে ফেরার আইনি লড়াইয়ে আছেন। এর মাঝেই নতুন রূপে নিজেকে হাজির করলেন ক্যামেরার সামনে। শামীমার সম্মতিতেই ছবিগুলো ধারণ করা হয়।

তবে, ছবি তুললেও কোনো মন্তব্য করতে রাজী হননি শামীমা। আর তাই অতীত নিয়ে এখন কী ভাবছেন গণমাধ্যমের পক্ষে তা জানা সম্ভব হয়নি। তবে, শামীমার নাগরিকত্ব ফিরিয়ে দেওয়ার চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন শামীমার আইনজীবীরা।  বর্তমানে, হিজাব ও ইসলামী পোশাক ত্যাগ করা অন্যান্য নারীদের সাথে ক্যাম্পে অবস্থান করছেন তিনি।

প্রসঙ্গত, কিশোরী বয়সে জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটে (আইএস) যোগ দিয়েছিলেন। যুক্তরাজ্যের সুন্দর, গোছানো জীবন ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন সিরিয়ায়। কিন্তু সেখানে তার অভিজ্ঞতা মোটেও ভালো ছিল না। একটা সময় বুঝতে পারেন কত বড় ভুল করেছেন তিনি। আইএসে যোগ দিয়ে নিজের জীবনের অনেক কিছুই হারিয়েছেন। আর এখন সিরিয়া থেকে যুক্তরাজ্যে ফেরার পথও বন্ধ হয়ে গেছে। বলছিলাম আইএস বধূ হিসেবে পরিচিত শামীমা বেগমের কথা।

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক শামীমা বেগম ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে পূর্ব লন্ডনের আরও দু’জন স্কুলপড়ুয়া ছাত্রীসহ যুক্তরাজ্য ত্যাগ করে তুরস্ক হয়ে সিরিয়া চলে যান। সেখানে ইসলামিক স্টেটে যোগ দেন তিনি। তখন শামীমা বেগমের বয়স ছিল মাত্র ১৫ বছর। সেখানে নেদারল্যান্ডসের এক জিহাদিকে তিনি বিয়ে করেন। ওই যোদ্ধা অন্য ধর্ম থেকে ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন।

এরপর ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে সিরিয়ার এক শরণার্থী শিবিরে শামীমার সাক্ষাৎ পান এক ব্রিটিশ সাংবাদিক। তখন শামীমা যুক্তরাজ্যে ফিরে আসার আকুতি জানান। আইএসের সর্বশেষ ঘাঁটি বাঘুজ থেকে পালিয়ে তিনি ওই শিবিরে আশ্রয় নিয়েছিলেন। সেখানেই তার ছেলে সন্তানের জন্ম হয়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত