আন্তর্জাতিক ডেস্ক

০২ মে, ২০২১ ১২:০১

ম্যারাডোনায় চিকিৎসায় ত্রুটির প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি

আজেন্টাইন ফুটবল কিংবদন্তি ডিয়েগো ম্যারাডোনা মৃত্যুর আগে অযত্নে ভুগেছেন। তার সুস্থতার জন্যও দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক-নার্সরা যথেষ্ট সোচ্চার ছিলেন না। ম্যারাডোনার মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে গঠিত চিকিৎসকদের বিশেষজ্ঞ প্যানেল এই তথ্য দিয়েছে।

গত বছর ২৫ নভেম্বর না ফেরার দেশে পাড়ি দেন ম্যারাডোনা। এরপর আর্জেন্টিনার প্রসিকিউটররা কিংবদন্তির মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে এই প্যানেল গঠন করেন।

৬০ বছর বয়সে হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু হয় ম্যারাডোনার। মৃত্যুর আগে নভেম্বরের শুরুতে তার মাথায় অস্ত্রোপচার হয়েছিল। এরপর অতিরিক্ত অ্যালকোহল নির্ভরতা থেকে মুক্তির জন্য তার চিকিৎসা চলছিল।

কিন্তু হঠাৎই বিশ্ব ফুটবলকে স্তব্ধ করে না ফেরার দেশে পাড়ি দেন ১৯৮৬ বিশ্বকাপের নায়ক। যিনি অনেকটা একক নৈপুণ্যে আর্জেন্টিনাকে সেবার বিশ্বকাপ এনে দেন।

ম্যারাডোনার মৃত্যুর পর চিকিৎসার অবহেলার অভিযোগ উঠে। এরপর আর্জেন্টিনার প্রসিকিউটররা ম্যারাডোনার চিকিৎসার তত্ত্বাবধানে জড়িত চিকিৎসক, নার্সদের বিষয়ে তদন্ত শুরু করেন।

ম্যারাডোনার মৃত্যুর কারণ পরীক্ষা করতে এবং করো কোনো অবহেলা আছে কি-না, তা নির্ধারণে প্রসিকিউটররা ২০ জন মেডিকেল বিশেজ্ঞের একটি প্যানেল গঠন করেন।

শুক্রবার আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যম ক্লার্ন সেই প্যানেলের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ৭০ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে প্যানেল বলছে, ম্যারাডোনার মৃত্যুর ১২ ঘণ্টা আগে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন।

এই সময়ে ‘ম্যারাডোনার সঠিক পর্যবেক্ষণ হয়নি’ বলে রিপোর্টে বলা হয়েছে।

আর ম্যারাডোনার বেঁচে থাকার বিষয়টি ভাগ্যের ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল বলে তদন্ত প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে আর্জেন্টাইন সংবাদমাধ্যমটি।

ক্লার্নের প্রতিবেদন অনুযায়ী মেডিকেল বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাড়ির চেয়ে কোনো মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসা হলে ম্যারাডোনার সুস্থতার আরো ভালো সম্ভাবনা থাকত।

রয়টার্সও তদন্ত প্রতিবেদনের একটি অনুলিপি পেয়েছে। তারা জানায়, ম্যারাডোনার মৃত্যু তদন্তে গঠিত প্যানেল বলছে, কিংবদন্তি ফুটবলারের চিকিৎসক দল ‘অনুপযুক্ত, যথেষ্ট নয় এবং যত্নহীন ছিল।’

ম্যারাডোনার চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা যাদের বিরুদ্ধে তদন্ত হচ্ছে, তাদের মধ্যে আছেন ম্যারাডোনার ব্যক্তিগত চিকিৎসক লিয়োপোল্ডে লুকে ও মনোবিদ অগাস্টিনা কোসাচভও।

মেডিকেল প্যানেল তাদের রিপোর্ট প্রকাশ করেছে, এখন কোনো অভিযোগ আনতে হবে কি-না সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন প্রসিকিউটররা। আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যম ক্লার্ন বলছে, এ ক্ষেত্রে হত্যার বিষয় বিবেচিত হতে পারে।

ম্যারাডোনার মৃত্যুর পর তার দুই মেয়ে চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ আনেন। এরপরই এই তদন্ত শুরু হয়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত