আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১০ মে, ২০২১ ১১:২৮

যুক্তরাষ্ট্রে জন্মদিনের পার্টিতে গুলি, বান্ধবীসহ ৬ জনকে হত্যার পর আত্মহত্যা

যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডোতে একটি জন্মদিনের পার্টিতে গুলিতে ছয়জন নিহত হয়েছেন। তাদের হত্যার পর বন্দুকধারী নিজেই নিজেকে গুলি করে আত্মহত্যা করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

কলোরাডোর স্প্রিং পুলিশ রোববার (৯ মে) রাতে জরুরি কল পাওয়ার পর একটি বাড়ি থেকে ছয়জনের মরদেহ উদ্ধার করে। এ ছাড়া সেখানে একজন পুরুষ গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে ছিল। তাকে উদ্ধার করে পুলিশ স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেয়ার পর তিনিও মারা যান।

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ বলছে, একটি পরিবার তাদের হোম পার্কের বাড়িতে জন্মদিনের অনুষ্ঠান করার সময় বন্দুকধারী ওই হামলা চালিয়েছে।

এক বিবৃতিতে পুলিশ জানায়, সন্দেহভাজন বন্দুকধারী ওই পরিবারের এক নারীর বয়ফ্রেন্ড। তিনি স্বাভাবিকভাবেই হেঁটে বাড়ির ভেতর প্রবেশ করে গুলি চালিয়ে তার গার্লফ্রেন্ডসহ ছয়জনকে হত্যা করেন। পরে নিজেও নিজের গুলিতে মারা যান।

‘আমরা এর কারণ অনুসন্ধানে কাজ করে যাচ্ছি।’

এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, হামলার ঘটনায় কোনো শিশু আহত হয়নি। পরিবারের অন্য সদস্যরা এখন শিশুদের দেখভাল করছেন। নিহত ব্যক্তিদের পরিচয় জনসমক্ষে প্রকাশ করেনি পুলিশ।

কলোরাডো স্প্রিং পুলিশের প্রধান ভিন্স নিস্কি বলেন, ‘বন্দুক হামলার ঘটনার তদন্তের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হামলার যে বর্ণনা দিয়েছেন, তা খুবই ভয়ংকর।

‘আমরা প্রত্যাশা করি, আমাদের কমিউনিটিতে এমন ঘটনা আর ঘটবে না।’

কলোরাডো স্প্রিংয়ের মেয়র জন সোথারস এমন সহিংসতাকে নির্বোধের কাজ উল্লেখ করে নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।

হোম পার্কের এক বাসিন্দা জানান, তারা মধ্যরাতে গুলির শব্দে ঘুম থেকে উঠেছেন। এত পরিমাণ গুলি হচ্ছিল যে, তিনি সেটাকে বজ্রপাত ভেবেছিলেন।

যুক্তরাষ্ট্রে এমন বন্দুক হামলা প্রায়ই ঘটতে দেখা গেছে। গত মাসে দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বন্দুক সহিংসতাকে মহামারি হিসেবে উল্লেখ করেছেন। এ বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ‘আন্তর্জাতিকভাবে বিব্রতকর’ বলেও বর্ণনা করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের গান ভায়োলেন্স আর্কাইভের তথ্যমতে, গত বছর দেশটিতে আত্মহত্যা ও বন্দুক হামলায় ৪৩ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত