সিলেটটুডে ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক

১৩ ডিসেম্বর, ২০১৫ ১১:৫৫

কি আছে প্যারিসের জলবায়ু চুক্তিতে?

ইতিহাসে প্রথমবারের মতো জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলার ক্ষেত্রে বিশ্বনেতারা একমত হয়েছেন।

দু'শটির মতো দেশ গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণ কমিয়ে আনার যে ঐক্যমত্য পোষণ করাকে ‘ঐতিহাসিক অর্জন’ বলে মনে করা হচ্ছে।

১৯৯৭ সালের কিয়োটো প্রটোকলে হাতে গোনা কয়েকটি দেশকে ক্ষতিকর গ্যাস নিঃসরণ ঠেকানোর লক্ষ্যমাত্রা দেয়া হয়। কিন্তু সেই প্রটোকল থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেয় যুক্তরাষ্ট্র। বাকীরাও লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হয়।

অবশ্য বিজ্ঞানীরা বলছেন পৃথিবীতে আসন্ন বিপজ্জনক জলবায়ু পরিবর্তন ঠেকাতে প্যারিস চুক্তিকে অবশ্যই কার্যকর করতে হবে।

চুক্তির গুরুত্বপূর্ণ উপাদান:

  •     বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি দুই ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম করা।
  •     গাছ, মাটি ও সমুদ্র প্রাকৃতিকভাবে যতটা শোষণ করতে পারে, ২০৫০ সাল থেকে ২১০০ সালের মধ্যে কৃত্রিমভাবে গ্রিনহাউজ গ্যাসের নিঃসরণ সেই পর্যায়ে নামিয়ে আনা।
  •     প্রতি ৫ বছর অন্তর ক্ষতিকর গ্যাস নিঃসরণ রোধে প্রত্যেকটি দেশের ভূমিকা পর্যালোচনা করা।
  •     জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে মানিয়ে নিতে এবং নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহার নিশ্চিত করতে গরিব দেশগুলোকে ধনী দেশগুলোর ‘জলবায়ু তহবিল’ দিয়ে সাহায্য করা।


অর্থ সঙ্কট কি চুক্তি বাস্তবায়নে বাধা হবে?

  • প্যারিসের দর কষাকষিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে অর্থের যোগান।
  • উন্নয়নশীল দেশগুলো দাবী তুলছে, জীবাশ্ম জ্বালানী ব্যবহার বাদ দিয়ে সরাসরি নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহারের দিকে যেতে তাদের আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা প্রয়োজন।
  • আগামী ২০২০ সাল নাগাদ এই খাতে বছরে ১শ বিলিয়ন ডলারের যে প্রতিশ্রুতি পাওয়া যাচ্ছে যাতে সন্তুষ্ট নয় অনেক দেশই।
  • চুক্তি বাস্তবায়ন করতে হলে ২০২০ সালের পরেও বছরে ১শ বিলিয়ন ডলারের সহায়তা অব্যাহত রাখা প্রয়োজন বলে মনে করছে তারা।
  • ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের ড. ইলান কেলম্যান বলছেন, আর্থিক সহায়তা দেবার সংক্ষিপ্ত সময়সীমা উদ্বেগের কারণ।

 

আপনার মন্তব্য

আলোচিত