সিলেটটুডে ডেস্ক

১০ জুন, ২০২৩ ১৭:২১

নরেন্দ্র মোদির যুক্তরাষ্ট্র সফরে থাকছে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ

ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকার খবর

ছবি: আনন্দবাজার পত্রিকা

একাদশ জাতীয় সংসদকে কেন্দ্র করে ঢাকায় বিদেশি কূটনৈতিক মিশনের তৎপরতা শুরু হয়েছে। সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের জন্যে নতুন ভিসানীতি ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ‘অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে সহায়তা করতে’ এই ভিসানীতি, এমনটাই দাবি যুক্তরাষ্ট্রের।

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিদেশি মিশনগুলোর এই তৎপরতায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের দূরত্ব বাড়ছে বলে বিভিন্ন মাধ্যমে আলোচনা আছে।

আগামী ২১ জুন যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকা বলছে, মোদির ওয়াশিংটন সফরের আলোচনার টেবিলে থাকবে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ।

শনিবার আনন্দবাজার পত্রিকার অনলাইনে ‘এগিয়ে আসছে নির্বাচন, ঢাকার উদ্বেগ নিয়ে মোদির সফরে বাংলাদেশকে বার্তা দিতে চায় ভারত’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘নয়াদিল্লি আমেরিকাকে বলতে চায়, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বাংলাদেশের গুরুত্ব যথেষ্ট। সেখানে এখন এমন কিছু করা বাঞ্ছনীয় নয়, যাতে সে দেশে মৌলবাদী, কট্টরপন্থি, সন্ত্রাসবাদীদের কাছে ইতিবাচক বার্তা যায়।’

প্রতিবেদনটিতে দাবি করা হয়েছে, ‘বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন এগিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে সে দেশের ওপর আমেরিকার ক্রমবর্ধমান চাপ নিয়ে শেখ হাসিনা সরকার নয়াদিল্লির কাছে ঘরোয়াভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশের অভিযোগ, নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ করার জন্য আওয়ামী লীগ সরকারের যথেষ্ট উদ্যোগ এবং চিন্তাভাবনা রয়েছে। কিন্তু আমেরিকা এবং আংশিকভাবে জাপানের পক্ষ থেকে যেভাবে অতিসক্রিয়তা দেখানো হচ্ছে, তা যথেষ্ট অস্বস্তির।’

শীর্ষ কূটনৈতিক সূত্রের বরাতে প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘বিষয়টি নিয়ে ওয়াশিংটনের সঙ্গে কথা বলার পক্ষপাতী সাউথ ব্লক। প্রকাশ্যে যদিও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, অন্য কোনো রাষ্ট্রের ভোট নিয়ে শেষ কথা বলবেন সে দেশের মানুষ। তাতে নাক গলানোর প্রশ্ন নেই। কিন্তু কূটনৈতিক সূত্রের খবর, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের দপ্তর থেকে ঢাকাকে জানানো হয়েছে, বর্তমান ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের বর্তমান প্রশাসনের গুরুত্বের দিকটি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আসন্ন ওয়াশিংটন সফরে তুলে ধরা হবে। গত মাসে জাপানের হিরোশিমায় জি-৭ শীর্ষ বৈঠকে আমন্ত্রিত রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে গিয়েছিলেন মোদি। তখনই বাংলাদেশ প্রসঙ্গ তোলার পরিকল্পনা ছিল সাউথ ব্লকের। কিন্তু সময়ের স্বল্পতার কারণে তখন তা সম্ভব হয়নি।’

সম্প্রতি ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলকে ঘিরে হাসিনা সরকার ১৫ দফা রূপরেখা ঘোষণা করেছে। সেখানে ভারতের অবস্থানের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ওই অঞ্চলের সমৃদ্ধির লক্ষ্যে একটি উদার, শান্তিপূর্ণ, নিরাপদ এবং অন্তর্ভূক্তিমূলক ব্যবস্থা গড়ে তোলার কথাই বলা হয়েছে।

সূত্রের বরাতে আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে, ‘নয়াদিল্লি এ কথাও ওয়াশিংটনকে বলতে চায় যে, সে দেশে এমন কিছু করা উচিত হবে না, যাতে আওয়ামী লীগ সরকার চীনের দিকে ঝুঁকে পড়ে।’

আপনার মন্তব্য

আলোচিত