০৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১৪:২৭
যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সব ভোট গণনা শেষের আগেই প্রাথমিক ফলাফল বিশ্লেষণে এ তথ্য জানিয়েছে ফক্স নিউজ।
তাদের হিসাব-নিকাশ মতে, আর কোনোভাবেই কমলা হ্যারিসের এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই।
সর্বশেষ খবরে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ট্রাম্পের প্রাপ্ত ইলেকটোরাল কলেজ ভোটের সংখ্যা ২৭৭। অপরদিকে ডেমোক্রেটিক দলের প্রার্থী কমলা হ্যারিস পেয়েছেন ২২৬টি ভোট।
দেশটিতে মোট ৫০টি অঙ্গরাজ্যে ৫৩৮টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট রয়েছে। জিততে হলে ২৭০টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট পেতে হবে। তা ইতিমধ্যে ট্রাম্প নিশ্চিত করেছেন এবং আরও কিছু রাজ্যের ইলেকটোরাল কলেজ ভোট তার দখলে যাওয়ার খুব সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
ফ্লোরিডার ওয়েস্ট পাম বিচে প্রস্তুতকরা মঞ্চে এরই মধ্যে সমর্থকদের উদ্দেশে বক্তব্য দিয়েছেন ট্রাম্প। আর তখনই গুরুত্বপূর্ণ সুই স্টেটে পেনসিলভানিয়ার ফলাফল এসেছে। সেখানে ১৯টি ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট পেয়েছেন। এই ফলাফল পাওয়ার পরই ট্রাম্প মঞ্চ থেকে নিজেকে বিজয়ী ঘোষণা করেছেন।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের এগিয়ে যাওয়ার পেছনে নিয়ামক ভূমিকা পালন করেছে সুইং স্টেটগুলোর ভোট। এরই মধ্যে তিন অঙ্গরাজ্যে পেনসিলভানিয়া, নর্থ ক্যারোলাইনা এবং জর্জিয়ার ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট এরই মধ্যে ট্রাম্প তাঁর ঝুলিতে পুরেছেন।
বার্তা সংস্থা এপির তথ্য অনুযায়ী, গুরুত্বপূর্ণ সুইং স্টেট পেনসিলভানিয়াতে রিপাবলিকাল পার্টির প্রার্থী ট্রাম্প বিজয়ী হয়েছেন। এই অঙ্গরাজ্যে ট্রাম্প ১৯টি ইলেক্টোরাল ভোট পেয়েছেন। অপর সুইং স্টেট জর্জিয়াতে বিজয়ী হয়েছেন রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। এপির প্রতিবেদন অনুযায়ী, এখানে তিনি ১৬টি ইলেক্টোরাল ভোট পেয়েছেন। এ ছাড়া, নর্থ ক্যারোলাইনার ১৬টি ইলেক্টোরাল কলেজ ভোটও গেছে তাঁর ঝুলিতে।
এদিকে, ২০১৬ সালে নিউইয়র্কে হিলারি ক্লিনটনের সম্ভাব্য বিজয় উৎসবের জন্য যখন সবাই প্রস্তুত, সেই মুহূর্তে হঠাৎ বিষণ্নতার বাতাস বইতে থাকে। সমর্থকেরা হঠাৎ বুঝতে পারেন, তারা যা আশা করেছিলেন তা ঘটছে না। হাসি আর নাচ কান্নায় রূপ নেয়, মানুষ উদ্যাপনের স্থান ছেড়ে যায় অত্যন্ত মর্মাহত হয়ে।
আজ রাতে ফ্লোরিডায় ঠিক তার বিপরীত ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে। সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্ভবত আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন। এখানে তিনি বক্তব্য দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। ফ্লোরিডার ওয়েস্ট পাম বিচে ট্রাম্পের জন্য মঞ্চ প্রস্তুত করা হয়েছে। সেখানে সিক্রেট সার্ভিস তৎপর হয়ে উঠেছে। সমর্থকদের মোটরকেড (গাড়ি শোভাযাত্রা) চলছে।
অপরদিকে, এই মুহূর্তে কমলা হ্যারিসের নির্বাচনী সদর দপ্তরে ভিড় প্রায় নেই বললেই চলে। কারণ একজন সিনিয়র সদস্য এরই মধ্যে ঘোষণা দিয়েছেন, কমলা আজ রাতে এখানে উপস্থিত হবেন না। বড় পর্দায় দুটি সুইং স্টেটে ট্রাম্পের বিজয় ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই সমর্থকদের চোখে মুখে হতাশার ছাপ দেখা দেয়। প্রধান নির্বাচনী কার্যালয় এখন প্রায় ফাঁকা। কয়েক ঘণ্টা আগেও উৎসবমুখর পরিবেশ ছিল এখানে। এখন বিষণ্ন। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই কমলা হ্যারিসের সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে গেছে।
আপনার মন্তব্য