সিলেটটুডে ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক

২৯ এপ্রিল, ২০১৬ ১০:১৮

পাক-ভারত সীমান্তে লেসার রশ্মির বেড়াজাল!

আর কাঁটাতারের উপর ভরসা নয়। সীমান্তে এ বার লেসার ওয়াল বসিয়ে দিল ভারত। অবৈধ ভাবে সীমান্ত পেরনোর চেষ্টায় বাধা হয়ে উঠবে লেসার রশ্মি।

ভারত-পাক সীমান্তের যে সব দুর্গম এলাকায় কাঁটাতার বসানো যায় না, সেই সব এলাকাকেই অনুপ্রবেশের জন্য ব্যবহার করত জঙ্গিরা। পঞ্জাবে ভারত-পাক সীমান্ত বরাবর তেমনই ১২টি জায়গায় লেসারের বেড়াজাল বসিয়ে দিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয়।

ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বা বিএসএফ লেসার ওয়ালের দেখভাল করছে। দু’বছর আগেই সীমান্তে লেসারের দেওয়াল তৈরি করার প্রস্তাব দিয়েছিল বিএসএফ। কাজ এগোচ্ছিল ধিমে তালে। পঠানকোটে জঙ্গি হামলার পর নড়চড়ে বসে প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয়।

সীমান্তের যে সব পাহাড়ি এলাকায় বিপজ্জনক ঢাল রয়েছে, সেখানে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া সম্ভব নয়। সেই সব এলাকাকেই আগে সুরক্ষিত করা হয়েছে। দুর্গম পাহাড়ি ঢালে বসেছে লেসারের বেড়াজাল। বিএসএফ-এর এক শীর্ষ কর্তা জানিয়েছেন, ৮টি এলাকায় লেসার ওয়াল ইতিমধ্যেই কাজ করতে শুরু করেছে। আরও ৪টি জায়গায় পরিকাঠামো তৈরি সম্পূর্ণ। কয়েক দিনের মধ্যেই সেই লেসার ওয়াল অ্যাক্টিভেট করা হবে।

উপগ্রহ নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থার মাধ্যমে লেসার ওয়াল কাজ করছে। লেসার রশ্মির যে জাল সীমান্তে বিছিয়ে দেওয়া হয়েছে, সেই জালের মধ্যে কোনও অবৈধ গতিবিধি টের পেলেই সেন্সর সঙ্কেত পাঠিয়ে দিচ্ছে কম্যান্ড সিস্টেমে। কোন এলাকায় অবৈধ গতিবিধি বা অস্বাভাবিকতা দেখা যাচ্ছে, তা নিখুঁত ভাবে বলে দিচ্ছে এই সঙ্কেত। সঙ্গে সঙ্গে সেই এলাকা বিএসএফের নজরে চলে আসছে।

লেসার ওয়ালের সাফল্য দেখে বিএসএফ-এর শীর্ষকর্তারা উল্লসিত। আগে জওয়ানদের চোখ এড়িয়ে, কাঁটাতারের বেড়া কেটে পাকিস্তান থেকে ভারতে ঢুকত জঙ্গিরা। কিন্তু লেসারের বেড়া হল আলোক রশ্মির বেড়া। একে কাটা যায় না। একে এড়ানোও যায় না।

সীমান্ত পেরনোর চেষ্টা করলে লেসার রশ্মির সংস্পর্শে আসতেই হবে। আর সংস্পর্শে এলেই বিএসএফের কাছে পৌঁছে যাবে সঙ্কেত। অন্ধকারে তো বটেই, কুয়াশার মধ্যেও খুব দক্ষ ভাবে কাজ করবে এই লেসার ওয়াল।

সূত্র: এবিপি আনন্দ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত