সিলেটটুডে ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক

০৮ মে, ২০১৬ ০৯:০০

ইরাকে আইএসের ৫০টির বেশি গণকবর মিলেছে : জাতিসংঘের বিশেষ দূত

জাতিসংঘের দূত জ্যান কুবিস বলেছেন, ইরাকে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) দখলে ছিল, এমন কয়েকটি এলাকায় ৫০টিরও বেশি গণকবর পাওয়া গেছে। নিরাপত্তা পরিষদকে এ তথ্য জানিয়ে এটিকে আইএসের ‘জঘন্য অপরাধের প্রমাণ’ বলে বর্ণনা করেছেন ওই দূত।

জ্যান কুবিস জাতিসংঘের সহায়তা মিশনের বিশেষ দূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বলেছেন, আইএসের দখল থেকে পুনরুদ্ধার করা ইরাকি ভূখণ্ডে সম্প্রতি এসব গণকবরের খোঁজ পাওয়া গেছে। গত এপ্রিলে ইরাকের রামাদি শহরে কয়েকটি গণকবর পাওয়া গেছে। এগুলোতে ৪০ জনেরও বেশি মানুষের দেহাবশেষ আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কুবিস বলেছেন, এসব ঘটনার জন্য আইএসের যোদ্ধাদের ‘জবাবদিহি নিশ্চিত করার জন্য’ বিশ্ব সম্প্রদায়ের পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।

গত বছরের ডিসেম্বর মাসে ইরাকি বাহিনী রামাদি শহরের একটি বড় অংশ আইএসের কবজা থেকে মুক্ত করে। ওই বছরের মে মাস থেকে সেখানে আইএসের নিয়ন্ত্রণ ছিল। এ বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রামাদির কিছু জায়গায় আইএসের উপস্থিতি ছিল। তবে এখন সেখানে পুরোপুরি সেনা নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা সম্ভব হয়েছে।

জাতিসংঘের দূতের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, উত্তর ইরাকের সিনজার ও তিকরিত এবং পশ্চিম ইরাকের আনবার প্রদেশে কয়েকটি গণকবর থেকে মানুষের দেহাবশেষ উদ্ধার করা হয়েছে। এসব এলাকায় আইএস যোদ্ধাদের হামলায় স্থানীয় উপজাতি, ইরাকি সেনা ও সংখ্যালঘু ইয়াজিদি গোষ্ঠীর লোক নিহত হয়েছে।

সিরিয়ার যেসব এলাকায় আইএসের ঘাঁটি ছিল, সেখানেও গণকবরের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে বলে কুবিস বলেন। তিনি আরও বলেন, তিনি ‘সম্ভাব্য সবচেয়ে কঠোর ভাষায়’ ইরাকিদের ওপর আইএসের ধারাবাহিক হত্যা, অপহরণ, ধর্ষণ ও নির্যাতনের নিন্দা জানান। তিনি মনে করেন, এসব ঘটনা মানবতাবিরোধী অপরাধ, যুদ্ধাপরাধ, এমনকি গণহত্যা বলেও বিবেচিত হতে পারে।

কুবিস বলেছেন, আইএসবিরোধী অভিযানে ‘উল্লেখযোগ্য ও ধারাবাহিক অগ্রগতি’ সত্ত্বেও আইএস এখনো দুর্দমনীয় অবস্থানে রয়েছে। তারা প্রতিনিয়ত হামলার ধরন ও অবস্থান পাল্টাচ্ছে। তিনি বলেন, শুধু সামরিক শক্তি দিয়ে আইএস দমন সম্ভব হবে বলে তাঁর মনে হয় না।

তাঁর ধারণা, ‘চরমপন্থার মূল কারণ’ বিবেচনায় এনে সমন্বিতভাবে এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে হবে। কুবিস বলেন, ইরাকের বর্তমান মানবিক সংকটের অবস্থা ‘বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ’ বলে মনে করেন তিনি। দেশটির মোট জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ বা এক কোটির বেশি লোকের জন্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আন্তর্জাতিক সহায়তা পাঠানো উচিত বলে মত দেন জ্যান কুবিস।

সুত্র: বিবিসি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত