সিলেটটুডে ডেস্ক

০৯ মে, ২০১৬ ০১:২৮

তল্লাশির নামে বিএসএফের শ্লীলতাহানি, কিশোরীর আত্মহত্যা

ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের বিরুদ্ধে এবার তল্লাশির নামে কিশোরীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। ওই কিশোরী লোকলজ্জায় আত্মহত্যার করেছে বলেও জানা গেছে।

ভারতীয় দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকায় জানিয়েছে, দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি সীমান্ত এলাকায় শনিবার এ ঘটনা ঘটেছে। রূপছানা (১২) নামে ওই কিশোরী সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী।

ওই ছাত্রীকে তল্লাশির নামে শ্লীলতাহানি করে বিএসএফের চন্দ্রকান্ত নামের এক জওয়ান। এর পরেই ঘরে ফিরে গলায় দড়ি দেয় রূপসানা। সঙ্গে সঙ্গে তাকে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। শনিবার রাত ১১টা নাগাদ হাসপাতালেই মৃত্যু হয় তার।

হিলি থানার অন্তর্গত গোঁসাইপুর এলাকার পাঞ্চুল গ্রামের বাসিন্দাদের বরাত দিয়ে আনন্দবাজার জানিয়েছে, এলাকায় টহলদারির নামে প্রায়শই গ্রামের ভিতর চলে আসে বিএসএফের জওয়ানরা। শুধু তাই নয়, গ্রামের মেয়েদের উত্ত্যক্ত করা থেকে শুরু করে তল্লাশির নামে যৌন নিপীড়নও করে তারা।

শনিবার সকাল ১০টা নাগাদ কোচিং থেকে মাঠের মধ্য দিয়ে জমির আল ধরে বাড়ি ফিরছিল রূপসানা। সেই সময়ই ৭৫ বিএসএফ কোম্পানির ওই জওয়ান তল্লাশির নামে রূপসানার শ্লীলতাহানি করে। মেয়েটি চিৎকার করায় ছুটে আসে আশেপাশের বাসিন্দারা। খবর ছড়িয়ে পড়তেই বাড়ি থেকে ছুটে আসেন রূপসানার মা রিনা দেবী। তিনি মেয়েকে উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘরে ঢুকে দরজায় খিল দেয় রূপসানা। বারবার ডাকাডাকিতেও দরজা না খোলায় দরজা ভাঙতে বাধ্য হোন বাড়ির লোক। কিন্তু ততক্ষণে গলায় ফাঁস দিয়ে সিলিং থেকে ঝুলে পড়েছে সে। তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। রাতে হাসপাতালেই মৃত্যু হয় তার।

পাঞ্চুল গ্রামের প্রধান সন্ধ্যা মালি বলেন, এলাকায় বিএসএফের খুব অত্যাচার। এরা স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের সবসময় হেনস্থা করে। তল্লাশির নামে শ্লীলতাহানি করে। কিন্তু এদের কোনও নারী কর্মী নেই।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত