অনলাইন ডেস্ক

১০ মে, ২০১৬ ১১:০৩

অনলাইনে পানামা পেপার্সের তথ্য

পানামা পেপার্স নামে পরিচিত ফাঁস হয়ে যাওয়া অফশোর অ্যাকাউন্টের তথ্যের একটি তালিকা অনলাইনে প্রকাশ করা হয়েছে।

অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের আন্তর্জাতিক সংগঠন আইসিআইজে কর্তৃক প্রকাশিত ওই তালিকায় ২১টি অঞ্চলের দুই লাখের বেশি কোম্পানি ও ব্যক্তির নাম রয়েছে। যাদের নাম এসেছে, তারা আইন ভেঙে সম্পদ গড়েছেন- এমনটা বলছে না আইসিআইজে। তবে অর্থ পাচার করতে কিংবা কর ফাঁকি দিতে আইনের ফাঁক-ফোঁকর খুঁজেছেন এদের অনেকেই। আইসিআইজে বলছে, জনস্বার্থে তারা এই তালিকা প্রকাশ করেছে।

উল্লেখ্য, গত মাসে পানামার ল’ ফার্ম মোস্যাক ফনসেকার বিপুল সংখ্যক নথি ফাঁস হয়। এরপর বিশ্বজুড়ে তা তুমুল আলোচনার জন্ম দেয়।

https://offshoreleaks.icij.org/ ঠিকানায় জিএমটি সোমবার গ্রিনিচ মান সময় ১৮:০০ টা থেকে এই তথ্য সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়।

আইসিআইজের ওয়েবসাইটে প্রতিবেদনে বলা হয়, মোসাক ফনসেকার নথিতে বিশ্বের ২০০টি দেশের ২ লাখ ১৪ হাজার ব্যক্তির টাকা পাচারের নথি আছে। এসব ব্যক্তির মধ্যে ১৪০ জন রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান ও রাজনীতিকের নাম রয়েছে। এসব ব্যক্তি বিশ্বের ২১টি কর রেয়াত পাওয়া অঞ্চলে পাঠানো টাকায় গড়ে তুলেছেন তথাকথিত ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান।

পানামাভিত্তিক আইনি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান মোসাক ফনসেকার ফাঁস হওয়া নথি থেকে জানা গেছে, বিশ্বের ধনী ও ক্ষমতাশালী ব্যক্তিরা নামে-বেনামে অফশোর কোম্পানি খুলে কর ফাঁকি দিয়ে বিদেশে অর্থ পাচার করেছেন। আর এর মধ্য দিয়ে গড়ে তুলেছেন সম্পদের পাহাড়।

মোসাক ফনসেকার ১ কোটি ১৫ লাখ গোপন নথি ফাঁসের খবর পাওয়া যায় গত ৪ এপ্রিল। এ ঘটনা বিশ্বব্যাপী পানামা পেপারস কেলেঙ্কারি নামে পরিচিতি পেয়েছে।

মোসাক ফনসেকার ওই নথি থেকে জানা যায়, বিভিন্ন দেশের ৭০ জনের বেশি রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান বা তাঁদের স্বজনেরা কর ফাঁকি দিয়ে অর্থ পাচার করেছেন দেশের বাইরে। শুধু রাষ্ট্র বা সরকারপ্রধানেরাই নন, বিনোদন বা খেলাধুলার জগতের মহাতারকা থেকে শুরু করে বড় বড় ব্যবসায়ী ও রাজনীতিক এমনকি দাগি অপরাধীরাও একইভাবে অর্থ পাচার করেছেন।

ওই নথি ফাঁসকারী ‘জন ডো’ হিসেবে পরিচিত। তিনি কোনো সরকার বা প্রতিষ্ঠান কিংবা গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষে এ কাজ করেননি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত