সিলেটটুডে ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক

১৩ জুন, ২০১৬ ১৩:৩৮

স্ত্রীকে নিয়মিত পেটাতেন ‘সহিংস মনের’ ওমর, আগে দুবার আটকও হয়েছিলেন

রোববার যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের অর‍ল্যান্ডো শহরে 'পালস' নামের সমকামী নৈশক্লাবে নৃশংস হামলা চালিয়ে
৫০ জনকে হত্যা করেন ২৯ বছর বয়সী আফগান বংশোদ্ভূত ওমর মতিন। এই ঘটনার পর পরই ওমরের নাম উঠে আসে ।

এই হামলার দায় স্বীকার করে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) ওমরকে তাদের সদস্য বলে দাবি করেছে। জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে তাকে আগে দুবার আটক করে প্রমাণ না পাওয়ায় জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দেয়া হয়।

জানা গেছে, আইএস সাথে সংশ্লিষ্টতার কথা বলে সহকর্মীদের প্রতি বিরূপ মন্তব্য করায় তাকে ২০১৩ সালে এফবিআই কর্মকর্তারা দুবার জিজ্ঞাসাবাদ করে।

কর্মকর্তারা অভিযোগের প্রমাণ না পাওয়ায় তদন্ত শেষ করা হয়। তবে ২০১৪ সালে আবারো সিরিয়ায় এক আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীর সাথে যোগাযোগের অভিযোগে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

সেবারও এধরণের যোগাযোগের কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি এবং তদন্তটি সেখানেই শেষ করা হয়, বলেন রন হপার।

জিজ্ঞাসাবাদে কোন প্রমাণ না মেলায় সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে নজরদারির আনুষ্ঠানিক তালিকায় রাখা হয়নি এবং আইনগতভাবেই তার একটি আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স ছিল। এমনকি সে  ২০০৭ সাল থেকে নিরাপত্তা সংস্থা জি ফোর এস-এর একজন সশস্ত্র নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে কাজ করে আসছিল।


মতিনের জন্ম নিউ ইয়র্কে এবং তার মা-বাবা দুজনই আফগান। পরবর্তীতে সে ফোর্ট পিয়ার্সে বসবাস শুরু করে, অরল্যান্ডো থেকে শহরটি গাড়িতে দুই ঘণ্টার রাস্তা।

তার সাবেক স্ত্রী, সিতোরা ইউসুফি বলেছেন, মতিন ছিলেন সহিংস, মানসিকভাবে অস্থিতিশীল এবং তাকে নিয়মিত পেটাতেন।

অনলাইনে পরিচয়ের পর ফোর্ট পিয়ার্সে ২০০৯ সালে দুজনের বিয়ে হয়, তবে তার ওপর নির্যাতনের কথা জানার পর মিস ইউসুফিকে তার বাবা-মা তাকে সেখান থেকে নিয়ে যান। ২০১১ সালেই তাদের বিচ্ছেদ হয়।

"সে কোন স্থিতিশীল মানুষ ছিল না" ওয়াশিংটন পোস্টকে বলেন মিস ইউসুফি "সে আমাকে মারতো। সে কাজ থেকে ফিরেই হয়তো কাপড় না ধোয়া কিংবা নানা কারণ দেখিয়ে আমাকে মারতে শুরু করতো"।

তিনি বলেন, তার সাথে যখন পরিচয় ছিল তখন মতিন খুব একটা ধার্মিক ছিল না, তবে নিয়মিত জিমে ব্যায়াম করতে যেতো।


সুত্র: বিবিসি, ওয়াশিংটন পোস্ট




আপনার মন্তব্য

আলোচিত