সিলেটটুডে ডেস্ক

০৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ০১:১২

‘মিশরের অর্ধেক পুরুষই নপুংসক’

নারীদের খতনার (এফজিএম) পক্ষে সাফাই গেয়ে মিশরীয় পার্লামেন্টের এক সদস্য বলেছেন, দেশটির অর্ধেক পুরুষই নপুংসক।

এফজিএম'র শিকার হয়ে এক কিশোরীর মৃত্যুর পর গত সপ্তাহে সাজা বাড়িয়ে এ সংক্রান্ত আইনের অনুমোদন দেয় পার্লামেন্ট।

কঠোর সাজার বিরোধিতা করে এমপি ইলহামি আগিনা বলেন, পুরুষদের যৌন সক্ষমতার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে নারীদের যৌন চাহিদা নিয়ন্ত্রণে এফজিএম প্রয়োজন।

এক টিভি সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, 'এটা বৈজ্ঞানিক গবেষণায় প্রতিষ্ঠিত সত্য যে, মিশরের অর্ধেক পুরুষই নপুংসক, এটা একটা রোগ।'

তিনি বলেন, 'মিশরের দোকানগুলোতে আমদানিকৃত এবং স্থানীয় যৌন উত্তেজক উপকরণের ছড়াছড়ি তারই একটি প্রমাণ।'

এই এমপি বলেন, 'যৌন সক্ষমতায় দুর্বল পুরুষদের সঙ্গে সঙ্গতি রাখতে নারীদের যৌন আকাঙ্ক্ষা নিয়ন্ত্রণে এই (এফজিএম) প্রক্রিয়ার প্রয়োজন আছে।'

তিনি আরও বলে, 'আমরা যদি এফজিএম বন্ধ করে দেই, তাহলে শক্তিশালী পুরুষের প্রয়োজন আছে। কিন্তু আমাদের এ ধরনের পুরুষ নেই।'

প্রসঙ্গত, গত ২০০৮ সাল থেকেই মিশরে এফজিএম নিষিদ্ধ। এরপরও এটি থেমে নেই। দেশটির ১৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সী নারীদের ৮৭ ভাগই এফজিএম'র শিকার।

এমপি'র এ ধরনের মন্তব্যে ব্যাপক বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। ফেসবুক ও টুইটারসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রীতিমতো তাকে তুলোধুনা করেছে এফজিএম বিরোধীরা। নিজেদের স্ত্রী ও বোনদের বাঁচাতে তারা রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।

আফ্রিকা এবং মধ্যপ্রাচ্যের খ্রিস্টান ও মুসলিম নারীরা এফজিএম'র বেশি শিকার। বর্তমানের বিশ্বের প্রায় ২০ কোটি কিশোরী ও নারী এ পরিণতির ভুক্তভোগী।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত