ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক

০৬ মে, ২০১৫ ০২:০৬

ভারতের দেওয়া শতচ্ছিন্ন ত্রাণের কাপড় ময়লার গুদামে ফেলে রেখেছে নেপাল

ভূমিকম্প বিধ্বস্ত নেপালে ত্রাণ হিসেবে পাকিস্তানের পাঠানো গরুর মাংসের মসলা ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ার পর ভারতের দেওয়া ত্রাণের কাপড় হিসেবে পুরনো ও শতচ্ছিন্ন কাপড় ময়লার গুদামে ফেলে রেখেছে নেপাল। সরকারের গ্রীণ সিগন্যাল পেলে সেগুলো ফেরত দেওয়া হবে। 

এদিকে ভারতের পক্ষ থেকে পুরনো কাপড় দেওয়ার বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। খবর সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস।

দুই দেশের কর্মকর্তারাই এ খবর নিশ্চিত করেছেন বলে মঙ্গলবার জানিয়েছে ভারতীয় দৈনিক হিন্দুস্তান টাইমস। ৭.৯ মাত্রার ওই ভূমিকম্পের এক সপ্তাহে নেপালে নিহতের সংখ্যা সাত হাজার ছাড়িয়ে গেছে এবং বাড়িঘর হারিয়ে আশ্রয়হীন হয়েছে অসংখ্য মানুষ।

ভূমিকম্প আক্রান্ত প্রায় ৯০ লাখ লোকের জন্য সাহায্য প্রয়োজন বলে জানিয়েছে নেপাল প্রশাসন ও বিভিন্ন বেসরকারি সাহায্য সংস্থা। নেপালের অসহায় মানুষের জন্য সারা বিশ্বের প্রায় ৩০টি দেশ এবং জাতিসংঘ ও রেডক্রসসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা প্রয়োজনীয় ত্রাণ ও অন্যান্য সাহায্য পাঠাচ্ছে।

এর আগে হিন্দু অধ্যুষিত নেপালে গরুর মাংসের মসলা ত্রাণ হিসেবে পাঠিয়ে ব্যাপক সমালোচিত হয়েছে পাকিস্তান।

ভূমিকম্পের পর থেকেই প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারত তাৎক্ষণিকভাবে নেপালকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। পুরনো কাপড়ের বিষয়ে নেপালের আপত্তি প্রথম প্রকাশিত হয় (২ মে) রেলপথে ত্রাণের প্রথম সরবরাহটি (১৭১ টন) নেপালে পৌঁছানোর পর।

ভারতের পাঠানো ত্রাণের কাপড়ের মধ্যে চটের বস্তাও রয়েছে, যা মেনে নিতে পারেনি নেপাল। বিদেশী পণ্য হিসেবে ত্রাণ প্রবেশ করতে দেয়ার সময় নেপালের শুল্ক কর্মকর্তারা প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা সারার সময় এ ধরনের অসংখ্য পণ্য পেয়েছেন।

ইন্দো-নেপাল যৌথ প্রকল্প হিমালয়ান টার্মিনাল প্রাইভেট লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বি মোহন এ প্রসঙ্গে বলেন, পুরনো কাপড়ের পুরো চালানই আমি আমাদের বন্দরে ময়লার গুদামে ফেলে দিয়েছি। তবে ভূমিকম্পের পর তাৎক্ষণিক সাহায্যের কারণে ভারতের কাছে নেপাল কৃতজ্ঞতাও জানিয়েছে।

এদিকে নেপালে ত্রাণ হিসেবে পুরনো কাপড়ের বিষয়ে তদন্ত করছে ত্রাণ সরবরাহের দায়িত্বে থাকা ভারতীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নেপালের কাছ থেকে এ বিষয়ে অভিযোগ পাওয়ার পর থেকেই পরীক্ষা করে তবেই ত্রাণ পাঠানো হচ্ছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত