সিলেটটুডে ডেস্ক

০৮ মে, ২০১৭ ০১:১৬

ডলার বিনিয়োগে যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ী ভিসার সুযোগ!

বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণ করতে লোভনীয় অফার দিচ্ছে ট্রাম্প জামাতা জেরার্ড কুশনারের ব্যবসায়ী পরিবার। ৫০ লাখ ডলার বিনিয়োগ করলেই চীনা ব্যবসায়ীদের যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ী ভিসার সুযোগ করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন তারা। তবে ব্যবসায়ী হয়ে বিদেশীদের এ ধরনের অফার দেয়ার বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

বিদেশী শ্রমিকদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা প্রক্রিয়া কঠোর করার আদেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। অন্যদিকে ধনী বিদেশীদের জন্য মার্কিন মুলুকে স্থায়ী হওয়ার সুযোগ অবারিত করছেন। টার্গেট করেছেন চীনা ধনীদের। ট্রাম্প প্রশাসনের এমন বার্তা নিয়েই চীন ভ্রমণ করছেন তার জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা ও জামাতা জেরার্ড কুশনারের পরিবারের সদস্যরা।

শনিবার (৬ মে) বেইজিংয়ে বিনিয়োগকারীদের এক সম্মেলনে জেরার্ড কুশনারের বোন নিকোল কুশনার মিয়ের মার্কিন মুলুকে চীনা বিনিয়োগ আহ্বান করেন। তিনি জানান, চীনা বিনিয়োগ ও বিনিয়োগকারীদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের দ্বার সবসময়ের জন্যই উন্মুক্ত।

তার ভাষায়, ‘অবস্থান খুবই পরিষ্কার, ৫০ লাখ ডলারের বেশি বিনিয়োগ করুন, ইবি-৫ ভিসার আওতায় যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ী হওয়ার সুযোগ নিন।’ এসময় তিনি নিউজার্সিতে কুশনার পরিবারের রিয়েল এস্টেট ব্যবসায় বিনিয়োগ করার জন্যও চীনা ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান।

ইবি-৫ ভিসার আওতায় কোনো বিদেশী বিনিয়োগকারী মার্কিন মুলুকে ৫০ লাখ বা তার বেশি পরিমাণ ডলার বিনিয়োগ করলে এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখলে তিনি গ্রিন কার্ড পাবেন।

নিকোল চীনা বিনিয়োগকারীদের বলেন, ‘ইবি-৫ ভিসা প্রক্রিয়ায় বিনিয়োগের ন্যূনতম হারে পরিবর্তন আসার আগেই আপনারা কুশনার প্রজেক্টে বিনিয়োগ করুন। যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হওয়ার সুযোগ গ্রহণ করুন।’

তিনি বিনিয়োগকারীদের তার দাদার গল্প শোনান। যিনি অভিবাসী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে প্রায় শূন্য থেকে একটি ব্যবসাকে দাঁড় করিয়েছেন। ধীরে ধীরে একটি সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন। নিকোল তার ভাই জেরার্ডের কথা বলেন। যিনি খুব অল্প সময়ের মধ্যে প্রশাসনের প্রভাবশালী পদে দায়িত্ব পেয়েছেন। তিনি বলেন, ‘জেরার্ড ২০০৮ সালে সিইও হিসেবে পারিবারিক ব্যবসায় যোগ দিলেও এখন প্রশাসনিক কাজে ওয়াশিংটনে থিতু হয়েছেন।’

এদিকে হোয়াইট হাউসের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টার বোন চীনে গিয়ে পারিবারিক ব্যবসার জন্য সেখানকার ধনী ব্যবসায়ীদের কাছে ভিসার বিনিময়ে বিনিয়োগ চাওয়ায় মার্কিন আইনের লঙ্ঘন হয়েছে বলে মনে করছেন বাণিজ্য বিশ্লেষকরা। তবে এ দাবি নাকচ করে দিয়েছেন জেরার্ড কুশনারের অ্যাটর্নি ব্লেক রবার্ট।

তিনি বলেন, ‘প্রশাসনিক পদে দায়িত্ব নেয়ার আগেই জেরার্ড পারিবারিক ব্যবসার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন। তাদের ব্যবসা ট্রাস্টের আওতায় পরিচালিত হয়। এতে জেরার্ড, তার স্ত্রী ইভাঙ্কা ট্রাম্প কিংবা সন্তানরা কোনোভাবেই লাভবান হন না। তাই এর ফলে সরকারি নীতি লঙ্ঘন হয়নি।’ সূত্র: সিএনএন

আপনার মন্তব্য

আলোচিত